অনলাইন ডেস্ক, ১৩ সেপ্টেম্বর।। কারাবন্দী মিয়ানমারের জনপ্রিয় নেত্রী অং সান সু চি (৭৬) অসুস্থতাজনিত কারণে সোমবার আদালতের শুনানিতে হাজির হতে পারেননি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তার এক আইনজীবী মিন মিন সো জানান, গতিজনিত অসুস্থতার কারণে মাথা ঘোরার সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই নেত্রীর শারীরিক অবস্থার দিকে ‘যত্নসহ’ খেয়াল রাখা হচ্ছে।
রয়টার্সকে এই আইনজীবী বলেন, ‘সু চি গুরুতর অসুস্থ নন। তিনি গাড়ি ভ্রমণে অসুস্থবোধ করছেন। তিনি ওই অনুভূতি সহ্য করতে পারছেন না। বিশ্রাম নিতে চান। ’
বাইরের জগতের সঙ্গে সু চির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম তার আইনি দল। এই দলটি জানিয়েছে, তাদের পক্ষেও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ সীমিত এবং কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়।
করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ ভাঙা ও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও নিজের কাছে রাখার মামলায় রাজধানী নেপিডোর আদালতে সু চির বিচার চলছে।
তার বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগও তোলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সু চির বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তার আইনজীবী। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সু চি একনায়কত্বের বিরুদ্ধে গত তিন দশক ধরে মিয়ানমারে অহিংস আন্দোলন করছেন।