স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর।। বড়মুড়া খামতিং বাড়ি এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশের গভীর জঙ্গল থেকে সদ্যোজাত শিশু উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা শিশুটিকে জঙ্গলে ফেলে গা ঢাকা দিয়েছে। বর্তমানে শিশুটির তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আরো এক সামাজিক অবক্ষয়ের নজির নজরে এল তেলিয়ামুড়া থানা এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশের জঙ্গলে।
তেলিয়ামুড়া থানাধীন বড়মুড়া খামতিং বাড়ি এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশের গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে এক শিশু কন্যা। সংবাদে জানা যায় ,শনিবার পরিমল মল্লিক নামে এক যুবক আগরতলা থেকে তেলিয়ামুড়াার দিকে নিজের বাইকে করে আসছিল।খামতিং বাড়ি এলাকায় যুবকটির কানে আসে শিশুর কান্নার শব্দ। কোন কিছু বিবেচনা না করে বাইক থামিয়ে কান্নার উৎস স্থল খোঁজে গভীর জঙ্গল থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে। পরে খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানায়।
তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে এসআই প্রীতম দত্তের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে শিশু কন্যাটিকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর এস আই প্রীতম দত্ত নিজের কোলে নিয়ে শিশু কন্যাটির কান্না থামানোর জন্য প্রাণভরে চেষ্টা চালিয়ে যায়। যদিও শিশুকন্যাটির কান্না থামাতে হাসপাতালে নার্স কর্মীরা থাকলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। বাধ্য হয়ে প্রীতম দত্ত শিশুকন্যাটিকে নিজের কোলে করেই ডাক্তার বাবুসহ নার্সের কাছে নিয়ে যায়।এদিকে শিশুকন্যাটিকে যে উদ্ধার করেছিল সেই যুবক পরিমল মল্লিক পুলিশের সাথে হাসপাতলে আসে। এবং শিশুকন্যাটির খোঁজখবর দেয় সেই যুবকটি। যুবকটি জানায় গভীর জঙ্গলে শিশুকন্যাটি চিৎকার করছিল।
উদ্ধারের সময় দেখতে পায় শিশুটির সারা শরীরে কাদায় পরিপূর্ণ রয়েছে। জঙ্গলের পোকামাকড় শিশুটিকে কামড়াচ্ছিল। সেখান থেকেে নিজের কোলে করেই জঙ্গল থেকে বের করে জাতীয় সড়কের পাশে নিয়ে আসে শিশুটিকে।সদ্যজাত শিশুকে এভাবে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক মর্যাদার প্রশ্নে এবং লোকলজ্জার ভয়ে তথাকথিত শিক্ষিত সভ্য সমাজের লোক জনরাই এ ধরনের অমানবিক কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।