স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ সেপ্টেম্বর।। কাশবনের তরঙ্গে ভাসছে মায়ের আগমনী বার্তা। চারিদিকে ফুটতে শুরু করেছে কাশফুল। কাশফুল জানান দিচ্ছে মা আসছেন। আর মাত্র ৩৪দিন। এসে গেছে শক্তি রূপিনী মায়ের আগমনীরবার্তা।এই সাদা দফ দফে কাশবন আমাদের মনে আনন্দের দোলা লাগে।এই দফ দফে কাশবন দেখে মনে হয় এসে গেছে শরৎ।
আমাদের মনের মত সমস্ত দুঃখ বেদনা ভুলিয়ে দিতে এই সুন্দর কাশফুল অপূর্ব। ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে কাশফুলের মনোরম ঢেউ।শ্বেত শুভ কাশ ফুলই প্রকৃতিতে শরৎ-র আগমনের খবর জানিয়ে দেয়।পালকের মতো নরম এবং ধব ধব সাদা রংএর ফুল ঘোষণা করে শক্তিরূপিণী মায়ের আগমনী বার্তা। করোনা অতিমারীর আতঙ্ক ভুলিয়ে দেয় কাশবন।মূলত কাশফুলই প্রকৃতিতে শরতের আগমনের খবর জানান দেয়।মনের কোনে যাবতীয় ব্যথা বেদনা কাশবনের ঢেউ দেখতে হাজার যোজন দূরে সরে গেছে।শরতের আকাশ সবার মন ছুঁয়ে যায়।
কাশফুল আসলে এক ধরনের ঘাস।ঘাস জাতীয় উদ্ভিদটি উচ্চতায় সাধারনতঃ তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।গাছটির চিরল পাতার দুই পাশ বেশ ধারালো। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল,শুকনো এলাকা,পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশফুল বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর যেখানে থাকে এই মাটিতেই কাশের মূল সহজে সম্প্রসারিত হতে পারে।
বাঙালি হিন্দুদের পরম্পরার উওরাধিকার দুর্গোৎসবের আবহ জাগে ধবধবে কাশফুলের সারি দেখতেই।আম বাঙালীর মনকে প্রবল ভাবে আন্দোলিত করে কাশফুল।বেজে উঠে আগমনীর গান।মনের অজান্তে বাঙালীর হৃদয় যেন বলে উঠে, এসেছে শরৎ আসছেন মা, সর্ব দুঃখ তাপ হরিনী, অসুর দলুনী। ইতিমধ্যেই রাজধানী আগরতলা শহরের সর্বত্রই শারদ উৎসবের পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। দোকানপাট বাজারহাট সর্বত্রই নতুন সাজে সেজে উঠতে শুরু করেছে।