অনলাইন ডেস্ক, ৩ সেপ্টেম্বর।। তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারই নতুন আফগান সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। যিনি তালেবানের দোহা রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ছিলেন।বারাদারের সহায়তায় থাকবেন তালেবানের প্রয়াত সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের পুত্র মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এবং শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানেকজাই। তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে।মোল্লা ইয়াকুব বর্তমানে তালেবানের সামরিক শাখার দায়িত্বে আছেন। অপরদিকে শের আব্বাস স্টানেকজাই কাতারের দোহায় থাকা তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তালেবান কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “শীর্ষ নেতারা কাবুলে পৌঁছেছেন, যেখানে নতুন সরকার ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে”।তালেবানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ধর্মীয় বিষয়াদি এবং ইসলাম অনুযায়ী শাসন নিশ্চিত করার বিষয়টি দেখভাল করবেন। তিনি সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা এবং উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।মন্ত্রিসভায় ৮০ ভাগ আসনেই তালেবানের দোহা টিমের সদস্যরা থাকবেন বলেও জানা গেছে।
হামিদ কারজাই কিংবা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ তালেবানের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন না বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পেলেও তারা উপদেষ্টা হিসেবে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।এছাড়া মন্ত্রিসভায় হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যরা পদ পাবেন বলে জানা গেছে। আফগানিস্তানের আলোচিত যুদ্ধবাজ নেতা হিজব-ই-ইসলামি দলের প্রধান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার মন্ত্রিসভায় পদ না পেলেও পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন বলে জানা গেছে।
সরকার গঠনের আগেই চার মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছিল তালেবান। তাঁরা হলেন, অর্থমন্ত্রী গুল আগা, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির ও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি। তবে যাঁদের নিয়েই সরকার গঠন হোক না কেন আফগানিস্তানে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার হাতেই সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।তালেবানরা এর আগে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের ইচ্ছার কথা বললেও এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শুধুমাত্র তালেবান নেতারাই থাকবেন।
১২ জন আলেমের একটি পরামর্শক কাউন্সিল বা শুরা সহ এটি ২৫ টি মন্ত্রণালয় নিয়ে গঠিত হবে এই সরকার।এছাড়াও ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে একটি সংবিধান এবং ভবিষ্যতের সরকারের কাঠামো নিয়ে আলোচনার জন্য আফগান সমাজের প্রাচীন ও গোত্রীয় প্রতিনিধিদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে একটি লয়া জিরগা বা বিশাল সমাবেশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।