স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ৩ সেপ্টেম্বর।। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও মুঙ্গিয়াকামি ব্লক এলাকার বিলাইকাং এর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতায় এলাকায় বসবাসকারী জনগণ জটিল সমস্যার সম্মুখীন। মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের মানচিত্রে বিলাইকাং এলাকাটিও আছে।
কিন্তু এলাকাবাসীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে যে রাস্তাটি বর্তমানে রয়েছে সেই রাস্তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা ধরে কোনো যানবাহনও যাতায়াত করে না। যার কারণে এলাকাবাসী পায়ে হেঁটে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়।
যা প্রচন্ড দুর্ভোগের সামিল। বিগত বাম আমলে এনবিসিসি সংস্থার জনৈক ঠিকাদার এই রাস্তাটি নির্মাণ করেছিল। রাস্তার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করা হয়নি। । অথচ ওই উপজাতি গ্রাম বলে পরিচিত বিলাইকাং এলাকার প্রায় ১৫০ টি পরিবারের জনজাতিদের বসবাস।
বাম আমল পেরিয়ে রাম আমলের প্রায় সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও বিলাইকাং এলাকার রাস্তার বেহাল দশা ঘুচলো না। বর্তমানে ব্লক প্রশাসনের আমলারাও পর্বত দোহীতাদের স্বার্থে কাজ করছে না বলে অভিযোগ। অবাক হওয়ার বিষয় হলেও এটাই বাস্তব।
এমন বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করা গেল খোদ বিলাইকাং এলাকাতে গিয়ে। গত কয়েকদিন পূর্বে মুঙ্গিয়াকামী আরডি ব্লক এর ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ দেববর্মা বিলাইকাং এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে রাস্তাঘাটের কঙ্কালসার অবস্থা প্রত্যক্ষ করে রীতিমতো অবাক হয়ে যান।
ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ দেববর্মা জানান, এই এলাকার জনজাতির দীর্ঘ প্রায় 5 কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে৪৭ মাইলের করকরি এলাকায় আসে। ৪৭ মাইল থেকে গাড়ি করে মুঙ্গিয়াকামী বাজারে আসতে হয়।
এলাকার জনজাতিদের যাতায়াতের রাস্তাটি তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। তবে ব্লকের ভাইস-চেয়ারম্যান ওই ভগ্নদশা রাস্তাটি সংস্কার করার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথাও বলেছেন বলে জানান।
কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হল আজও কঙ্কালসার রাস্তা ধরে জনজাতিদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।অবিলম্বে এলাকার রাস্তাঘাট তৈরীর জন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দাবি উঠেছে।