অনলাইন ডেস্ক, ২ সেপ্টেম্বর।। তালেবান বাহিনী এবং স্থানীয় নেতা আহমদ মাসউদের অনুগত যোদ্ধারা বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকায় তীব্র লড়াই করেছে। উভয় পক্ষই দাবি করছে যে, যুদ্ধে তাদের প্রতিপক্ষ ব্যাপক হতাহতের শিকার হয়েছে।তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশিরে ঢুকে কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।তিনি বলেন, স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আমরা অভিযান শুরু করেছিলাম। “তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে”।
তবে বিদ্রোহীদের দল আফগানিস্তান ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্টের (এনআরএফএ) একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা এখনো উপত্যকায় ঢোকার সমস্ত প্রবেশপথের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন। এবং উপত্যকার প্রবেশ পথ শটুল জেলা থেকে তালেবানদের হটিয়ে দিয়েছেন।পার্শ্ববর্তী পারওয়ান প্রদেশের একটি শহরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শত্রুরা জাবুল-সরাজ থেকে শটুল জেলায় প্রবেশের একাধিক চেষ্টা করেছিল এবং প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে”।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আরো বলেন, সপ্তাহের প্রথম দিকে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এনআরএফএ বাহিনী দুটি ফ্রন্টে বিপুল সংখ্যক তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।তালেবানদের ক্ষতির প্রসঙ্গে এই মুখপাত্র বলেন, “অন্য পক্ষের (তালেবানদের) কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে তারা যুদ্ধের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না”।উভয় পক্ষই প্রমাণ ছাড়াই একে অপরের হতাহতের ব্যাপারে বিভিন্ন পরিসংখ্যান দিয়েছে। তবে তবে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।তালেবানরা বলছে, পাঞ্জশির উপত্যকা চারদিক দিয়ে ঘেরা এবং বিদ্রোহীদের জয় অসম্ভব। বিদ্রোহীরা বলছে তারা আত্মসমর্পণ করবে না।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানদের হাতে কাবুলের পতনের পর, স্থানীয় মিলিশিয়াদের কয়েক হাজার যোদ্ধা এবং সেনাবাহিনী এবং বিশেষ বাহিনীর ইউনিটের অবশিষ্টাংশ পাঞ্জশিরে জড়ো হয়ে তালেবানদের প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেয়।প্রাক্তন আফগান মুজাহিদিন কমান্ডারের ছেলে আহমদ মাসউদের নেতৃত্বে তারা প্রদেশটিতে অবস্থান করছে। এটি একটি খাড়া উপত্যকা যা বাইরে থেকে আক্রমণ করা কঠিন।তাদের মধ্যে সমঝোতার জন্য আলোচনার প্রচেষ্টা ভেঙে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তালেবানরা সরকার ঘোষণার জন্য প্রস্তুত হওয়ায় উভয় পক্ষই আলোচনার ব্যর্থতার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।