অনলাইন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর।। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ার পর দ্রুতই সরকার গঠন করতে চাইছে তালেবানরা। তালেবান এবং অন্যান্য আফগান নেতারা তালেবানের প্রধান আধ্যাত্মিক নেতার নেতৃত্বে নতুন সরকার এবং মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে “ঐকমত্যে” পৌঁছেছেন বলে তালেবানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য বিলাল করিমী বুধবার বলেছেন, তালেবান সুপ্রিম কমান্ডার হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা যে কোনো গভর্নিং কাউন্সিলের শীর্ষ নেতা হবেন। আখুন্দজাদার তিনজন ডেপুটি এবং তালেবানের প্রধান মুখ মোল্লা আবদুল গণি বারাদার সরকারের দৈনন্দিন কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকবেন বলেও জানান।
তার মানে অনেকটা ইরানের ধাঁচেই সরকার গড়তে চাইছে তালেবনারাও। অর্থাৎ দলের আধ্যাত্মিক প্রধানই হবেন দেশেরও সর্বোচ্চ নেতা। প্রেসিডেন্টের থেকেও বেশি ক্ষমতা থাকবে তাঁর। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সব সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
তালেবান যোদ্ধারা কাবুল দখল নিলেও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি আখুন্দজাদা। তালেবান দাবি করেছে, কান্দাহারেই রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। গত চার দিন ধরে কান্দাহারে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন তালেবানের শীর্ষনেতারা।
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সরকার গঠন হলে মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা রয়েছে। কাবুলে ক্ষমতা হস্তান্তর থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত তালেবানের প্রধান মুখ হিসেবে তাঁকেই দেখা গেছে। তাঁর অধীনে অন্যান্য দফতরের দায়িত্ব সামলানোর জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নামও সামনে এসেছে।
তালেবানের সরকার গঠনের পথে এখন একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাঞ্জশির। এই প্রদেশ তালেবানরা এখনও দখল করতে পারেনি। নর্দার্ন অ্যালায়েন্স সেখানে প্রতিরোধ গড়েছে। বেশ কয়েকবার পাঞ্জশির দখল করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে তালেবানদেরকে। তবে এবার যে ভাবেই হোক দুর্গম এই প্রদেশ দখল করতে চাইছে তারা। যদিও তার আগেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পথে তালেবান।