অনলাইন ডেস্ক, ২৭ আগস্ট।। কাবুল বিমান বন্দরে ভারতীয় বিমান ধরতে এসে বিস্ফোরণের মুখোমুখি হয়েছিলেন ১৬০ জন আফগান শিখ এবং হিন্দু। কোনো মতে প্রাণে বেঁচেছেন তারা। ভারতীয় বিমান ধরার জন্য বুধবার থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। তারা যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেখানেই বিস্ফোরণ হয়েছে।
দিল্লির গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট মনজিনদার সিং সিরসা সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের সামান্য আগে তাদের ওখান থেকে সামান্য দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আটকে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে তার কথাও হয়েছে। তারা বিমানবন্দরের অদূরে একটি গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তাদের ভারতে আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গত এক সপ্তাহে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে অনেক আফগান শিখ এবং হিন্দুকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় ছাড়াও ভারতের সঙ্গে কর্মরত আফগানদেরও আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এসেছেন বেশ কিছু আফগান প্রশাসনের কর্মকর্তা। তবে ভারত সরকার গোড়াতেই জানিয়ে দিয়েছিল, উদ্ধারের ক্ষেত্রে আফগান সংখ্যালঘুদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বেশি।
অর্থাৎ, হিন্দু এবং শিখদের। ইতিমধ্যেই বহু আফগান শিখ ভারতে এসেছেন। শিখ ধর্মগ্রন্থ মাথায় করে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছেন তারা। তবে এখনো বহু শিখ এবং হিন্দুর আসা বাকি বলে জানিয়েছেন সিরসা। আফগান গুরুদ্বার কমিটির সঙ্গে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানিয়েছেন। সেই সূত্রেই ১৬০ জন শিখ এবং হিন্দু শরণার্থীর কথা জানতে পেরেছেন তিনি। এর মধ্যে ১৪৫ জন শিখ এবং ১৫ জন হিন্দু আছেন।
কাবুল বিমানবন্দরে এখন দিনে দুইটি ভারতীয় বিমান নামতে পারছে। কিন্তু বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে মনে করছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিমানবন্দরের সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে আটকে পড়া শরণার্থীদের কীভাবে উদ্ধার করা হবে, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।