অনলাইন ডেস্ক, ২৪ আগস্ট।। হংকংয়ের জনসংখ্যা গত ১ বছরে আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ পরিস্থিতির জন্য করোনা মহামারি ও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করা হচ্ছে। আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এএফপি।নথিপত্র বলছে, হংকংয়ের জনসংখ্যা ১ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা সংখ্যায় প্রায় ৮৯ হাজার ২০০ জন। ৬০ বছরের মধ্যে এটিই হংকংয়ের জনসংখ্যার সবচেয়ে বড় হ্রাস।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সেখানকার লাখ লাখ নাগরিক ব্রিটেনে নাগরিকত্বের প্রস্তাব পাওয়ায় হংকং ছেড়ে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল বা অন্যান্য দেশে অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, হংকংয়ের বাসিন্দাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে চীন। হংকং থেকে আসা অধিবাসীদের ১৮ মাস থাকার অনুমতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। গত ফেব্রুয়ারিতে জানানো হয়, ২০০৩ সালের পর ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি সময় কমেছে চীনের এ বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে।
২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে বেইজিং হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে এবং রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখে।নিরাপত্তা আইনের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা উল্লেখ করে ক্যাসি ওয়াং নামের একজন শিল্পী ও মানবাধিকার কর্মী সম্প্রতি তাইওয়ানে পাড়ি জমিয়েছেন। তিনি ভয়েস অব আমেরিকা বলেন, এমন কোথাও বাস করতে চান যেখানে ‘শতভাগ মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ রয়েছে। তার মতে, তাইওয়ানে সেই সুযোগ আছে।
ওই আইনের অধীনে কয়েক ডজন আইনপ্রণেতা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওয়াং মনে করেন, হংকংয়ের নিরাপত্তা আইনের তথাকথিত ‘লাল রেখা’ এতটাই দ্ব্যর্থবোধক হয়ে উঠেছে যে, এর মধ্যে বসবাস করা অসম্ভব।
আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি আর লাল রেখা নয়, লাল সমুদ্র। এটি এমন একটি অঞ্চল, যা আপনি এড়াতে পারবেন না।সম্প্রতি প্রস্তাবিত একটি আইন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হংকংয়ের ব্যবসায়ীরা। আটক হয়েছেন মিডিয়ার মালিকসহ অনেকে ব্যবসায়ী।
এ দিকে সরকারি মুখপাত্রের বরাত দিয়ে হংকং ভিত্তিক সংবাদপত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, শহর ছেড়ে যাওয়াদের সবাই স্থায়ীভাবে চলে যাচ্ছে না। বরং নতুন করে কোনো মানুষ সেখানে আসছে না বলেই জনসংখ্যা এতটা হ্রাস পেয়েছে।