স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ আগস্ট।। অস্মিতা৷ বয়স মাত্র ২৪। তবে অন্য সব মেয়েদের মত তার চলার পথ এতটাও মসৃণ নয়। অস্মিতার বয়স যখন বছর ৩ বা ৪ হবে তখন থেকেই তার হার্টের সমস্যা ছিল।
মেডিক্যাল ভাষায় যার নাম এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট। ৪ বছর বয়সেই তাকে অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে অপারেশন করতে পারেনি তার অসহায় মা-বাবা।
অপারেশনের খরচ বহন করা সাধ্যের বাইরে ছিল অস্মিতার বাবার অস্মিতার বাবা দীপক আচার্য্য পেশায় দিনমজুর। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার খাস মধুপুরের বাসিন্দা দীপক আচার্য। অস্মিতার মা সাবিত্রী আচার্য পেশায় সিকিউরিটি গার্ড।
বয়স যত বাড়তে লাগলো অস্মিতার হাত ও পায়ে অসম্ভব বাধা ও খিঁচুনি হতে থাকল, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো, খেলতে পারতো না, সঠিকভাবে লিখতে পারতো না এমনকি ভালো ভাবে কথাও বলতে পারতো না। সে নিজে থেকে কিছুই করতে পারতো না।
অসুস্থতার কারণে তার বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়েছে। এইভাবেই দেখতে দেখতে ২৩ টা বছর পেরিয়ে গেল। অসহায় বাবা-মা কিভাবে অপারেশন করে মেয়েকে সুস্থ করে তুলবে তা বুঝে উঠতে পারছিল না।
২০২০ সালে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে অস্মিতার মা- বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সম্বন্ধে জানতে পারেন। সম্পূর্ণ নিরখরচায় মেয়ের হার্টের অপারেশন হতে পারে শুনে মা-বাবা নতুন আশার আলো দেখতে পেলো৷
আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অন্তর্গত এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট রিপেয়ার ট্রিটমেন্টে অস্মিতার হার্টের অপারেশন হয়। ২০২০ সালের মে মাসে রাজ্যের একটি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অস্মিতার হার্টের অপারেশন হয়। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের। ত্রিপুরা শাখা থেকে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।