স্টাফ রিপোর্টার, কৈলাসহর, ১৩ আগস্ট।। কৈলাসহর চা বাগান চত্বরের কবিরাজকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মারধর, এরপর জ্যান্ত সমাধি দিয়ে দিল চা বাগান শ্রমিকেরা৷
চা বাগান সহ কৈলাসহরে ঘটনার খবর ছড়িয়ে যেতে শুভচিন্তক মানুষের মধ্যে ভীতি সহ হিংস্র মানসিকতার পরিচয় পরীলক্ষিত হয়৷ চা শ্রমিকরা বিনয়ী তথা অতিথি আপ্যায়নে বরাবরই সরল স্বাভাবিক মানসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছিল যুগ যুগ ধরে৷ কিন্তু কি এমন অশুভ শক্তি চা বাগান চত্বর গুলিতে৷
বিগত তিন চার মাস যাবত বধূ নির্যাতন সহ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা লেগেই আছে৷ আজ হিংস্রতার চরম শিখরে চন্ডিপুর ব্লকের অন্তর্গত মনো ভ্যালি চা বাগানের ১৭ নম্বর সংলগ্ণ এলাকা থেকে ডগ স্কোয়াডের সহযোগিতায় মাটিচাপা দেওয়া এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হল৷ নিহত ব্যক্তির নাম ভুলো ওরাং (৪০)৷
মনেভ্যালী ১৭ নম্বর থেকে এক কিলোমিটার দূরে শালবাগান এর পাশে ভুলো ওরাংকে চা বাগান শ্রমিকরা প্রথমে মারধর করে৷ পরবর্তী সময়ে মাটি খঁুড়ে জ্যান্ত সমাধি দেয়৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় চা শ্রমিক এই ব্যক্তি কবিরাজ এর কাজ করতো৷ পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা সহ সামান্য রোগে অসুস্থ হলে ভুলো ওরাং জল পড়া সহ কবজ দিয়ে রোগ সারানোর চেষ্টা করত৷
আজ সকাল ১০ টায় চা বাগানের বেশ কিছু লোক ভুলোর বাড়িতে যায় এবং বাড়ি থেকে তাকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করে৷ পরে শালবাগান সংলগ্ণ এলাকাতে কবর খুড়ে মাটি চাপা দেয়৷ তার স্ত্রী সাবিত্রী ওরাং বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন৷
পরে পুলিশ এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ পুলিশ একটি মামলা নিয়ে দশজনকে আটক করেছে৷ ধৃতরা স্বীকার করেছে তারা সবাই মিলে ভুলো ওরাংকে মারধর করে জিবন্ত কবর দিয়ে দেয়ে৷