অনলাইন ডেস্ক, ১৩ আগস্ট।। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার শহরতলি আলটিন্ডায় বুধবার রাতে শত শত মানুষ সিরিয়ান শরণার্থীদের ঘরবাড়িতে হামলা, দোকান ভাঙচুর ও লুট করে।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে স্থানীয় এক তুর্কি যুবক হত্যাকে কেন্দ্র করে। ধারণা করা হয়, সিরিয়ানরা তাকে হত্যা করেছে। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করার পরও তা বেশ কয়েক ঘণ্টা সংঘাত স্থায়ী হয়।
তুরস্কে প্রায় চল্লিশ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। আফগানিস্তান থেকে আরও শরণার্থী সে দেশে যাচ্ছে। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ার আশঙ্কা করে হচ্ছে।
বুধবার রাতের ওই ঘটনায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অসমর্থিত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী অন্যান্য এলাকা থেকে লোকজন গিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তবে হতাহতের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
তুরস্কের ক্ষমতাসীন একেপি দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আলটিন্ডা। এক দশক ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে এখানে সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
গ্লোবাল সোর্স পার্টনার্সের রাজনীতি বিশ্লেষক আটিলিয়া ইয়েসিলাদা মনে করেন, সরকারের শরণার্থী বিষয়ক নীতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে।
আফগানিস্তান থেকে আসা ক্রমবর্ধমান শরণার্থী তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ইয়েসিলাদা বলেন, “শুধুমাত্র ৩৬ লাখ সিরিয়ান শরণার্থীই নন, রয়েছে প্রায় দুই হাজার ইরানি, পাঁচ লাখ ইরাকি, অজ্ঞাত সংখ্যক আফ্রিকান যারা পর্যটক ভিসায় গিয়েছিলেন।
এখন আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে শরণার্থী যাচ্ছে। তারা কম বেতনে কাজ করে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটা একটি বড় বিষয়, তুরস্কের জনগণ চান শরণার্থীরা চলে যাক। ”