স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১১ আগস্ট।। বুধবার বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ১১৪ তম শহিদান দিবস রাজ্যে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়৷ বিভিন্ন সংগঠন এদিন ক্ষুদিরাম বসু শহিদান দিবস উদ্যাপন করে৷ এদিন বিল্পবী শহিদ ক্ষুরিরাম বসুর ১১৪ তম শহিদান দিবস উদ্যাপন করল এস এফ আই ও টি এস ইউ৷
বুধবার সিটি সেন্টারের সামনে এই শহিদ দিবস উদ্যাপন করা হয়৷ ব্রিটিশদের ভারত থেকে তাড়ানোর জন্য ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকিরা দুর্বার সগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ হাসি মুখে শহিদান বরণ করেন তাঁরা৷ স্বপ্ণের স্বাধীনতা এখনো দেশের মানুষের কাছে অধরা৷
কেবল শহিদ বেদীতে ফুল মালা দিয়ে দায়িত্ব শেষ হয় না৷ স্বপ্ণের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ভারতের ছাত্র যুব নাগরিকদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে৷ সংবিধান রক্ষায় বৃহত্তর লড়াইয়ে সকলকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান এস এফ আই-র রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব৷
এ আই ডি এস ও, এ আই ডি ওয়াই ও, এ আই এম এস এস-র যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১৪ তম শহিদান দিবস উদ্যাপন করা হয়৷ এদিন ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সদস্যরা৷
স্বাধীনতার পর দেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ ছিল তা আজও হয়নি৷ শিক্ষা ক্ষেত্র নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে৷ এন এ পি-২০২০ লাগু করায় ছাত্র ছাত্রীরা সব চাইতে বেশি ক্ষতি হবে বলে জানান অল ইণ্ডিয়া ডি এস ও-র রাজ্য সভাপতি মৃদুল কান্তি সরকার৷
এদিকে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে অবস্থিত ক্ষুদিরাম বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্তির সামনে ১১৪ তম আত্ম বলিদান দিবস উদ্যাপন করা হয়৷ ভারত বর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্ণি যুগের অগ্ণিশিশু শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর শহিদ দিবস৷
১১৩ বছর আগে ফাঁরি মঞ্চে ঝোলানো হয়েছিল এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে৷ করোনা অতিমারির কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে৷ ভারত বর্ষের স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরেও অনেক কিছু পূরণ হয়নি৷
এই দেশের যুবক যুবতীর মধ্যে ক্ষুদিরাম বসুর মত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন বোধ যাতে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শহিদ ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতি রক্ষা কমিটির প্রতিষ্ঠা বলে জানান সম্পাদক হর কিশোর ভৌমিক৷ তিনি আরো বলেন ক্ষুদিরাম বসুর দিশায় আগামী দিনে রাজ্য এবং দেশ এগিয়ে যাবে৷