অনলাইন ডেস্ক, ১১ আগস্ট।। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়–জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দায়ের হয়। সেই পিটিশনের বিষয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন লাদাখের দুই রাজনৈতিক নেতা ও এক সাংবাদিক। মামলা দায়ের করেছেন কামার আলি আখন, আসগর আলি কারবালাই ও সাজ্জাদ হুসেন।
দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়ার আগে আখন ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার কার্গিল নির্বাচনী এলাকার অধীন। কারবালাই লাদাখের কার্গিল জেলার কংগ্রেস নেতা ও হুসেন হলেন ‘গ্রেটার লাদাখ’ সংবাদপত্রের সম্পাদক। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতারা, লোকসভার সাংসদ মহম্মদ আকবর লোনি ও প্রাক্তন বিচারপতি হাসনাইন মাসুদি কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার লোনি এবং মাসুদি হলেন জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
২০১৫ সালে মাসুদি রায় দিয়েছিলেন যে, ৩৭০ ধারা হল সংবিধানের চিরস্থায়ী বৈশিষ্ট্য। যাইহোক, দুই সাংসদ চান, রাষ্ট্রপতির নির্দেশ ‘অসাংবিধানিক, অকার্যকারী ও বাতিল’ ঘোষণা করা হোক এবং কেন্দ্রের পদক্ষেপ ‘অবৈধ ও আইনভঙ্গকারী’ হিসাবে নির্দেশ দেওয়া হোক। দেশের সংবিধানের ১৪ ও ২১ ধারায় যে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে তাকে লঙ্ঘন করে কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত। ‘রাজ্য’কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করতে সাংবিধানের মর্যাদা হানি করা হয়েছে।
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির নির্দেশ ও জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এর ‘তীব্র প্রভাব’ পড়েছে উপত্যকায়। এমনটাই আবেদনপত্রে জানিয়েছেন মামলাকারীরা। রাষ্ট্রপতির নির্দেশ ও পুনর্গঠন আইন আইনি ও এক্সিকিউটিভ অঙ্গকে ছেঁটে ফেলেছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরবাসীদের সাংবিধানিক অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে।
এমনটাই বলা হয়েছে এই মামলায়। আরও জানানো হয়েছে, এখানে স্বৈরতান্ত্রিক রেজিম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যা গোটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করে দিয়েছে এবং প্রশাসকদের দয়ার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে উপত্যকাবাসীদের। যদিও এমন বহু মামলা সুপ্রিম কোর্টে এখনও ঝুলছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে এই ধরনের পিটিশনকে বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে উল্লেখ করতে অস্বীকার করেছিল।