অনলাইন ডেস্ক, ১০ আগস্ট।। লঙ্কার গুঁড়ো গায়ে মেখে স্নান করলে নাকি অশুভ শক্তি দূর হবে! এমনটা শুধু কথাতেই না, করেও দেখালেন এক পুরোহিত। ১০৮ কেজি লঙ্কার গুঁড়োর মেখে দিব্যি স্নান করলেন তিনি। তাঁর স্নানের এই দৃশ্য দেখার জন্য লোকজন আশেপাশে ভিড় জমিয়েছিলেন। লঙ্কার ঝাঁঝে যখন তারা দাঁড়াতে পারছিলেন না, তখন এই পুরোহিতের নির্বিকার চিত্ত মানুষকে আরও অবাক করে তোলে।
দিব্যি শান্ত হয়ে বসে লঙ্কা গুঁড়োর জলে স্নান সারলেন তিনি। দক্ষিণ তামিলনাড়ুর পালিত হল আদি অমাবাসাই। এই দিনটিকে পবিত্র মনে করে তামিলনাড়ুর ধরমপুরীতে এই অবাক করা দৃশ্য দেখা গেল। তামিলনাড়ু ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই দিনটি পবিত্র হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। তামিল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
স্নানের মাধ্যমে অশুভ শক্তিকে দূরে সরানোর রীতি প্রচলিত আছে। সেই স্নানের প্রথা মেনে, ধরমপুরীর নাদাপানাহাল্লি গ্রামের এক মন্দিরের পুরোহিত ১০৮ কেজি লঙ্কার গুঁড়োর মেখে স্নান করলেন। প্রতি বছর নাদাপানাহাল্লির এই মন্দিরে আদি আমবাসাই পালিত হয়। পুজো হয় গ্রামের দেবতা পেরিয়া কারুপ্পাস্বামীর। এবছরও হল সেই পুজো।
নিয়ম অনুযায়ী এছরও গ্রামের বাসিন্দারা দুধ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে পুজো দেন দেবতাকে। নৈবেদ্যতে দেওয়া হয় মদ ও সিগার। মন্দিরের পুরোহিত গোবিন্দন ও রীতি মেনে ভক্তদের সমস্যার কথা শোনেন এ দিন। থাকে অনেক রীতি-নীতি। এরপরই এই লঙ্কা যজ্ঞ করেন তিনি। সেই রীতিতে ১০৮ কেজি লঙ্কা গুঁড়ো মেশানো জল ঢালা হয় তাঁর শরীরে। ভক্তদের বিশ্বাস এই ভাবে স্নান করলে অশুভ শক্তি দূর করে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে।
কথায় আছে, ‘বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহু দূর’। সেই কথারই জলজ্যান্ত উদাহরণ শরীরে লঙ্কা গুঁড়ো মেখে স্নান! বর্তমান যুগেও এমন অভাবনীয় এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ু। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ, বিহারে করোনা দূর করতে গোবর মেখে স্নান, গো-মূত্র খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল।