অনলাইন ডেস্ক, ৬ আগস্ট।। গুজরাত হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রাজ্যের নয়া ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন নিয়ে সরকারকে একটি নোটিশ জারি করেছে৷ প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নয়া আইনকে চ্যালেঞ্জ করে জানানো এক আবেদনের শুনানিতে রাজ্য সরকারকে এই নোটিশ জারি করে৷ পরবর্তী শুনানির আগে এ নিয়ে বিজেপি শাসিত সরকারকে উত্তর দিতে বলা হয়েছে৷
পরবর্তী শুনানি ১৭ আগস্ট৷ গুজরাত ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২১ আইনের বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে আবেদন করেছিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য শাখা৷ বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল শুনানির সময় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট মিহির যোশী বলেন, সংশোধিত আইনে অস্পষ্ট শর্ত রয়েছে যা বিয়ের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে এবং সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে ধর্মের অনুশীলনের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
যদি আমি বলি যে আপনি বিয়ের পরে আরও ভালো জীবন উপভোগ করবেন, তাহলে এটি কি প্রলোভন? যেমনটি আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে এটি একটি অপরাধ৷ আইন বলছে, বল প্রয়োগ, প্রলোভন, প্রতারণামূলক উপায় এবং বিয়ের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত করা যাবে না। তাহলে ভিন্ন ধর্মের দুই ব্যক্তির বিয়ে হলে সেটি একটি অপরাধ? এই আইন পরিবারের দূরবর্তী সদস্যদেরও ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।
এভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খাটো করা হয়েছে বলে জমিয়তের মত৷ মূলত মুসলিম যুবকদের জব্দ করতেই এই আইন আনা হয়েছে বলে মনে করছে অনেকে৷ উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার তথাকথিত লাভ জিহাদ রুখতে আইন এনেছে৷ সেটাকেই এখন বিজেপি-শাসনাধীন রাজ্যগুলো অনুসরণ করছে৷