Stomach: খাবার সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে জল পান পেট ফোলার সবচেয়ে বড় কারণ, ঘরোয়া সমাধান

অনলাইন ডেস্ক, ৪ অগাস্ট।। ভুল জীবনযাপন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বাসি খাবার-দাবার, কোষ্ঠকাঠিন্য, বেশিক্ষণ পর্যন্ত কিছু না-খেয়ে থাকা বা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় বসে থাকার কারণে ব্লটিংয়ের সমস্যা হতে পারে। খাবার সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে জল পান পেট ফোলার সবচেয়ে বড় কারণ। এর ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়, যা ব্লোটিংয়ের জন্য দায়ী।

পেট ফোলার লক্ষণ

সাধারণ লক্ষণ হল পেট ফোলা ও পেট ভার থাকা। ব্যাকুলতা, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ওজন কমা, ক্লান্তি, তীব্র মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, বার বার গ্যাস হওয়া, গ্যাস বেরোলে দুর্গন্ধ, টক ঢেকুর, বমি বমি ভাব, কম ক্ষিদে পাওয়া, লাগাতার হেচকি, পেটে মোচড় ও মাঝে মধ্যে জ্বর আসা ব্লটিংয়ের লক্ষণ।

পেট ফোলার সমস্যা দেখা দিলে নিচের খাদ্যবস্তু থেকে দূরে থাকুন-

ফ্যাটি ফুড: তেলেভাজা, ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে পেটে ব্যথা, গ্যাস, বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই ব্লটিংয়ের সমস্যা হলে এইগুলো খাবেন না।

বিনস: স্বাস্থ্যকর বিনসও এর জন্য দায়ী হতে পারে। বিনসে অধিক পরিমাণে শর্করা ও অলিগোসেকেরাইড থাকে, যা শরীর হজম করতে পারে না। পাকতন্ত্র এই উপাদানগুলিকে হজম করার চেষ্টা করলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়।

নোনতা জিনিস: অধিক নোনতা কিছু খেলে শরীর থেকে তরল পাদার্থ নির্গত হতে পারে না। এর ফলে পেট ফোলার সমস্যা দেখা দেয়।

গম দিয়ে তৈরি খাবার-দাবার, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস এগুলো এড়িয়ে যাবেন।

পেট ফোলার সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

১. নিয়মিত ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। এর ফলে পাকতন্ত্র ভালো ভাবে কাজ করবে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না। ২. তেলেভাজা ও মসলাদার খাবার খাবেন না। এ ছাড়া কোন খাবার খেলে সমস্যা বাড়ছে, তা লক্ষ্য রাখুন। সেই সমস্ত খাবার থেকেও দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। ৩. জাঙ্ক ফুড খাবেন না। ৪. মদ, ধূমপান ও তামাক সেবন করবেন না। এগুলো পাকতন্ত্রকে নষ্ট করে দেয়, যার ফলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।৫. চা ও কফি যতটা সম্ভব কম পান করুন। ৬. নিয়মিত ২০-২৫ মিনিট যোগাসন করলে পেটের অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করার শক্তি পায়। ৭. রাতের খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এর ফলে পাকতন্ত্র ভালো থাকে ও তাড়াতাড়ি খাবার হজম হয়। ৮. ওয়াইন ও কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস পান করবেন না। ৯. ধীরে ধীরে ও ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খান।১০. দিনে তিন বার খাবার খাওয়ার পরিবর্তে কয়েক ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প খান। এই মিনি মিল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়বেন না।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?