স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লী, ৪ আগস্ট।। রাজধানীতে ৯ বছরের দলিত বালিকাকে গণধর্ষণ করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। প্রশ্ন উঠেছে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে।
নির্ভয়া কাণ্ড থেকে রাজধানী যে কোনও শিক্ষা নেয়নি, এই নৃশংসতার ঘটনার ফের কথাকেই আবার উসকে দিল। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
রাহুল বলেন, ‘আমি সব সময় পরিবারের পাশে আছি। ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব’। রবিবার দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরনো নঙ্গল এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা শ্মশানের কুলার থেকে জল আনতে যায়। অনেক পরে ফিরে না আসায় তাঁর খোঁজ শুরু হয়।
এরপরই এক প্রতিবেশী নাবালিকার মা’কে ডেকে মেয়ের অর্থদগ্ধ দেহটি দেখান। ঘটনার অভিযোগের আঙুল ওঠে শ্মশানের প্রধান পুরোহিত রাধেশ্যাম ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এদিক ওই পুরোহিত নির্যাতিতার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য হতভাগ্য পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
বলা হয় মেয়েটির দেহ পুলিশের হাতে দিলে, তার নির্যাতিতার শরীরের ভিতর থেকে তার সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বের করে নেবে, তাই এখনই দেহ পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এরপরেই প্রমাণ লোপাট করতে পরিবারের সামনেই দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে নাবালিকার মা-বাবা পুলিশে অভিযোগ জানান।
এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকেই গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।এই ঘটনায় বুধবার সকালে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। এবং আইনি লড়াইয়ে সাহায্য করবেন। ইতিমধ্যেই দলিত নেতা তথা ভীম সেনার প্রধান শেখর আজাদ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
নাঙ্গাল গ্রামে আন্দোলনেও তিনি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। নারী নিরাপত্তা নিয় সওয়াল করে ভীম সেনার প্রধান শেখর আজাদ আজাদ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।