অনলাইন ডেস্ক, ৪ অগাস্ট।। বিটকয়েনের মাধ্যমে আবার পেমেন্ট গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। তার এই মন্তব্যের পর বিটকয়েন ৩০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে।এর আগে গত মে মাসে মাস্ক বলেন, তার কোম্পানি টেসলা আর বিটকয়েনে লেনদেন করবে না।বিটকয়েন মাইনিংয়ে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভার্চুয়াল মুদ্রা ওই সময় দুই মাস গ্রহণ করে টেসলা।বি ওয়ার্ল্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি কনফারেন্সে মাস্ক বলেছেন, ‘খুব সম্ভবত টেসলা বিটকয়েন গ্রহণ আবার শুরু করবে।’
বিটকয়েন এমন একটি ডিজিটাল মুদ্রা যা জটিল গাণিতিক হিসাব সমাধানের মাধ্যমে সংখ্যায় অর্জন করতে হয়। এই হিসাবের পদ্ধতির নাম মাইনিং। হাজার-হাজার মাইনার দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা উচ্চ-ক্ষমতার বিশেষ কম্পিউটারের মাধ্যমে মাইনিং করেন। প্রতিযোগীদের আগে কে কী পরিমাণ অর্থের বিটকয়েন তৈরি করতে পারেন, সেই লড়াই চলে তাদের। এতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়।এই প্রক্রিয়া অধিকাংশ সময় জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে কয়লা দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে।মে মাসে মাস্ক টুইটে লেখেন, ‘বিটকয়েনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানী বিশেষ করে কয়লার ব্যবহার যেভাবে দ্রুত গতিতে বাড়ছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। ’
‘এই ধরনের মুদ্রা ভালো আইডিয়া…কিন্তু পরিবেশের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়।’মাস্ক এখন বলছেন, কীভাবে পরিবেশ রক্ষা করা যায় সেদিকে তিনি নজর দেবেন। বিনিয়োগ করবেন।বিটকয়েন মাইনারদের মধ্যে চীনাদের প্রভাব বেশি। পৃথিবীর ৭৫ শতাংশের বেশি বিটকয়েন মাইনিং হয় চীনে।বিটকয়েনের কারণে চীনে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন হয়, তা দেশটির দশটি বড় শহরের প্রায় সমান!বৃষ্টির মৌসুমে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিটকয়েন মাইনাররা কয়লা দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অনেক বেশি ব্যবহার করেন।