অনলাইন ডেস্ক, ৩ অগাস্ট।। দিল্লির পুলিশ কমিশনার হিসেবে রাকেশ আস্থানার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি আবেদনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা ও বিচারপতি সূর্যকান্তের দুই সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে শুনানি করবে বলে অনুমান। আবেদনটি এমএল শর্মা নামক একজন আইনজীবী দায়ের করেছেন, যিনি আস্থানার নিয়োগকে ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া একটি রায়কে লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।
একই সঙ্গে, শর্মা শীর্ষ আদালতকে এই নিয়োগ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা শুরু করতে বলেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী এমএল শর্মাকে বলেছে যে, রেজিস্ট্রার যদি তাতে নম্বর দেয় তাহলে তার আবেদন শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হবে। শর্মা বলেন, আমি রাকেশ আস্থানার নিয়োগের বিরুদ্ধে একটি অবমাননা পিটিশন দায়ের করেছি।
প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ আইনজীবীকে বলেন, “যদি এটি সংখ্যায়িত হয়, আমরা তা শুনানির জন্য পোস্ট করব।” এই পদে আস্থানাকে নিযুক্ত করতে তাঁর চাকরির মেয়াদ একবছর বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ জুন এসএন শ্রীবাস্তবের অবসর নিলে পর বালাজি শ্রীবাস্তবকে দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে।
সেই সময় কোনও ইঙ্গিত মেলেনি যে তাঁকে এই পদ থেকে সরানো হতে পারে। এদিকে রাকেশ আস্থানার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হলে মনে করা হয়েছিল তাঁকে সিবিআই প্রধান পদে ফের নিযুক্ত করা হতে হতে পারে। রাকেশ আস্থানা ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের ১৯৮৪ সালের ব্যাচের গুজরাত ক্যাডরের অফিসার। ৩১ জুলাই তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তবে মঙ্গলবারই তাঁর চাকরির মেয়াদ একবছর বাড়ানো হয় কেন্দ্রের তরফে। এর আগে রাকেশ আস্থানা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি-র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।
২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন তৎকালীন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা। তবে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তবে ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি অলোক বর্মার পাশাপাশি আস্থানাও সিবিআই ছেড়ে দেন। এর আগে সিবিআই প্রধান পদে আস্থানাকে নিয়োগের ইচ্ছা ছিল কেন্দ্রের। তবে তখন দেশের প্রধান বিচারপতি তাতে বাঁধ সেধে যুক্তি দেন, ছয় মাসের কম মেয়াদ থাকা কোনও আধিকারিককে প্রধান পদে বসানো ঠিক না।