সম্পাদকের কলম✒️
ত্রিপুরাকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট জমজমাট। তৃণমূল বলছে ‘আগে দেখেছেন বাম, এরপরে এসেছে রাম। এখন দেখবেন কাম”।বিধানসভা নির্বাচনের দেরী থাকলেও বিকল্প নিয়ে জোর চর্চা চলছে ত্রিপুরায়।আর এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়ছে ত্রিপুরার রাজপরিবারের। ত্রিপুরা রাজপরিবারের প্রধান প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য এই ক্ষেত্রে নিতে পারেন সবথেকে কার্যকরী ভূমিকা।
এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল। ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী বিকল্পের সন্ধান করছেন বিরোধীরা। উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে স্বশাসিত ভোটে বিপুল সাফল্য এনে দিয়েছেন প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। এর মূল কারণ তাঁর গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু। স্বশাসিত জেলার ভোটে বিজেপি ও তাদের জোট সঙ্গী। আইপিএফটি ব্যাপক ভোটে পরাজিত হয়।
এখানেই নেপথ্যে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে প্রদ্যোত কিশোরের ভূমিকা। এখন ত্রিপুরা জুড়ে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে তিপ্রাল্যান্ডের দাবি।বিজেপির শরিক আইপিএফটি ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসে ত্রিপ্রাল্যান্ড ইস্যু নিয়ে। কিন্তু তিন বছর কেটে গেলেও এই ইস্যুতে তারা মুখে একবারেই কুলুপ এটেছে। এখানেই নেপথ্যে উঠে আসছে ত্রিপুরার মহারাজের ভূমিকা।
হিসাব বলছে ত্রিপুরায় ৩১% জনজাতি ভোট। ৬৯% ভোট বাঙালি ভোট। এই জনজাতি ভোট ত্রিপুরার ২০ বিধানসভা আসনে সংরক্ষিত। যার ওপর সরকার গঠন নির্ভর করে৷ একটা সময় জনজাতিদের ভোট ছিল বামেদের দিকে। পরবর্তী সময়ে বামেদের সেই ভোট চলে যায় আইপিএফটির এর দিকে।
কিন্তু সরকারে আসার পরে তিপ্র্যাল্যান্ডের দাবি নিয়ে চুপ বিজেপি৷ তাই দোটানায় আইপিএফটি। স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভোটের আগে এই নিয়ে সরব হয়েছিল তারা। কিন্তু অজানা কারণে ফের সে চুপ। আর এই জনজাতি ভোটকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছেন প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। কুশলী প্রদ্যোত কিন্তু জল মেপে এগোচ্ছেন। তাড়াহুড়ো করে কোন সিন্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতি তিনি নন।