অনলাইন ডেস্ক, ৩১ জুলাই।। মার্কিন সৈন্য ও কূটনীতিকদের জন্য দোভাষী হিসেবে কাজ করা আফগানদের বহনকারী প্রথম ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার বলেছেন, সম্ভাব্য তালেবান প্রতিশোধ থেকে হাজার হাজার আফগানকে সরিয়ে নিতে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের পর থেকে প্রায় ২০ হাজারের বেশি আফগান যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করেছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিশেষ ভিসা প্রোগ্রামের (এসআইভি) অধীনে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রস্তাবিত অনুমিত হিসেবে সম্ভাব্য উদ্বাস্তুদের মোট সংখ্যা ১ লাখের মতো হতে পারে, ‘অপারেশন অ্যালাইজ রিফিউজি’ নামে অভিহিত এই কর্মসূচিতে দোভাষী ও সহায়তাকারীদের স্বজনদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আগস্টের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে মার্কিন বাহিনীর অবশিষ্টাংশ। মে মাসে ওই প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তালেবানেরা দেশটির একের পর এক অংশ দখলে নিচ্ছে। এরপর থেকে জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন দোভাষীরা।
এরই মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ আফগান মিত্র ও তাদের পরিবারকে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাইডেন শুক্রবার বলেন, “আজ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছি। হাজার হাজার আফগান নাগরিক গত ২০ বছর মার্কিন সৈন্য ও কূটনীতিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। ”
গত সপ্তাহে এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, এসআইভি আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ হাজারের ওপর। তবে এর অর্ধেকেরও প্রথম ধাপের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি।
কয়েক দিন আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, দোভাষীদের সবাই সামরিক বা অন্যান্য দপ্তরের জন্য অনুবাদকের কাজ করতেন। তাই তারা এখন তালেবানদের লক্ষ্যবস্তু।
তবে দোভাষীদের পরিবারের ঠিক কতজন সদস্যকে অনুমতি দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি সাকি। এটাও জানান যে, পরিবারকে নেওয়ার আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
কর্মকর্তারা তখনই বলছেন, এই মাসে দোভাষী ও তাদের পরিবারকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত কয়েক মাস ধরে ২০ বছরের যুদ্ধক্ষেত্র আফগানিস্তান ত্যাগ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা। একই সময়ে বেড়ে গেছে তালিবানদের অভিযান।