অনলাইন ডেস্ক, ৩১ জুলাই।। ইসরাইলি সংস্থা এনএসও গ্রুপের প্রস্তুত করা পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে রাজনীতিবিদ, অধিকার কর্মী, সাংবাদিক সহ গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা সামনে এসেছে। এই স্পাইওয়্যার কেবলমাত্র সরকারের কাছেই বিক্রি করা যায়। কোনও একক ব্যক্তি বা সংস্থা এটি কিনতে পারেন না।
ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান ও দ্য ওয়্যারের মতো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে চর্চা হয়েছে এই বিষয়ে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বহু সমাজকর্মী ও সাংবাদিকদের এই স্পাইওয়্যার দিয়ে নিশানা করা হতে পারে বলে জানাচ্ছে দ্য ওয়্যারের রিপোর্ট। রাজনৈতিক নেতারা অসংখ্য অভিযোগ তুলেছেন এবং তার জেরে সংসদের বাদল অধিবেশনে গোলযোগ হতে দেখা গিয়েছে। বিরোধী সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছেন সরকারের কাছে এবং তাঁরা একটি সুসংগঠিত বিতর্ক চাইছেন সংসদে।
যাইহোক, যে প্রশ্নটি বারবার উঠে আসছে তা হল, এই স্পাইওয়্যার ব্যবহারের জন্য কত মূল্য চোকাতে হয়। ২০১৬ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল যে, এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে এনএসও গ্রুপ ক্রেতার কাছ থেকে নেয় ৫ লক্ষ ডলার এবং ১০টি ডিভাইসে এটি নিতে হলে দিতে হয় সাড়ে ৬ লক্ষ ডলার।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ১০টি অ্যানড্রয়েড ডিভাইস বা আইফোন গ্যাজেটে এই স্পাইওয়্যারটি অনুপ্রবেশ করিয়ে দেওয়ার জন্য এজেন্সিকে দাম দিতে হয় সাড়ে ৬ লক্ষ ডলার। ব্ল্যাকবেরি ডিভাইসের জন্য এজেন্সিকে দিতে হয় ৫ লক্ষ ডলার এবং সিমবিয়ান ব্যবহারীদের ফোনে এটি ঢোকানোর জন্য এজেন্সি নেয় ৩ লক্ষ ডলার। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই রিপোর্ট মোতাবেক, অতিরিক্ত কাউকে নিশানা করলে তার জন্য খরচ আরও বাড়ে। তাছাড়া, বার্ষিক দেখভালের জন্য এই সংস্থা নেয় মোট দামের ১৭ শতাংশ।
দামের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে এখানে তা পেগাসাসের পূর্ববর্তী জেনারেশনের জন্য। এর সাম্প্রতিক জেনারেশনের দাম আরও বেশি। এতে রয়েছে বহু নতুন বৈশিষ্ট্য। জিরো-ক্লিক পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য দিতে হয় অনেক বেশি অর্থ। জিরো-ক্লিক হ্যাক ব্যবহার করলে ইউজারের ফোনে এই স্পাইওয়্যার কীভাবে ঢুকে পড়বে তা ইউজার জানতেও পারবে না।