অনলাইন ডেস্ক, ৩১ জুলাই।। কেরল হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে, যারা রাজ্যের বাইরে জন্মেছে, কিন্তু সেই রাজ্যের নীতি ও মূল্যবোধ গ্রহণ করেছে তারা নেটিভিটি শংসাপত্রের পাবে এবং শিক্ষাগত ও অন্যান্য সুবিধা দাবি করারও যোগ্য। বিচারপতি পি বি সুরেশ কুমারের পর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তি বা তার বাবা-মায়ের জন্মস্থান নেটিভিটি শংসাপত্র পাওয়ার একমাত্র শর্ত হতে পারে না।
যারা কেরলের বাইরে জন্মেছে কিন্তু এই রাজ্যের সঙ্গে সামাজিক যোগ রয়েছে তাদের কথাও বিবেচনা করে দেখতে হবে। আদালত ঘোষণা করেছে যে, কেউ রাজ্যের প্রচলিত নীতি ও মূল্যবোধের সামাজিকভাবে গ্রহণ করেছে কিনা তা বিবেচনা করে কারও সামাজিক যোগসূত্র সুনিশ্চিত করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ২৪ বছরের এক তরুণী উচ্চশিক্ষার জন্য নেটিভিটি শংসাপত্র চেয়ে পিটিশন দায়ের করেছিলেন।
তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি বা তাঁর অভিভাবক কেউই কেরলে জন্মগ্রহণ করেননি, এই বলে গ্রামীণ আধিকারিক তাঁর নেটিভিটি শংসাপত্রের আবেদন বাতিল করে দেন। পিটিশনকারিনীর অভিভাবক বিয়ের পর তামিলনাড়ুর থোথুকুড়ি থেকে কেরলে এসে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন। ওই তরুণীও জন্মেছেন থোথুকুড়িতে, কারণ তাঁর জন্মের সময় তাঁর মা পিতৃগৃহে চলে গিয়েছিলেন।
যাইহোক, তরুণীটি বেড়ে উঠেছেন কেরলেই এবং তাঁর বিদ্যালয় শিক্ষা ও স্নাতক স্তরের শিক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে এই রাজ্যেই। পিটিশনকারিনীর হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী জি শ্রীকুমার এবং সরকারের আইনজীবী ছিলেন বিনীতা বি।
গ্রামীণ আধিকারিকের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়েছে যে, যদিও পিটিশনকারিনীর পূর্বপুরুষরা কেরলের বাসিন্দা নন এবং পিটিশনকারিনীও এই রাজ্যের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছেন, কিন্তু তিনি কেরলের প্রচলিত নীতি ও মূল্যবোধকে সামাজিকভাবে নীতি আত্মস্থ করেছেন। এই ধরনের ব্যক্তিদের কেরল রাজ্যের বাসিন্দা হিসাবেই বিবেচনা করতে হবে এবং তাদের নেটিভিটি শংসাপত্র দিতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে আদালত।