অনলাইন ডেস্ক, ৩০ জুলাই।। আড়াই হাজার আফগান দোভাষী ও তাদের পরিবার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তাদের রাখা হবে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ফোর্ট লি আর্মি বেজে। সেখানেই তাদের বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআভি) সম্পন্ন হবে।
২০০১ সালে শুরু হওয়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন আফগান যুদ্ধে যারা দেশটির সঙ্গে কাজ করছে তাদের জন্য এই ভিসা চালু করা হয়।
আগস্টের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে মার্কিন বাহিনীর অবশিষ্টাংশ। মে মাসে ওই প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তালেবানেরা দেশটির একের পর এক অংশ দখলে নিচ্ছে। এরপর থেকে জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন দোভাষীরা।
এরই মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ আফগান মিত্র ও তাদের পরিবারকে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, ২০০৮ সাল থেকে এসআইভি পাওয়া ৭০ হাজার আফগানকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, এসআইভি আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ হাজারের ওপর। তবে এর অর্ধেকেরও প্রথম ধাপের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি।
কয়েক দিন আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, দোভাষীদের সবাই সামরিক বা অন্যান্য দপ্তরের জন্য অনুবাদকের কাজ করতেন। তাই তারা এখন তালেবানদের লক্ষ্যবস্তু।
তবে দোভাষীদের পরিবারের ঠিক কতজন সদস্যকে অনুমতি দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি সাকি। এটাও জানান যে, পরিবারকে নেওয়ার আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
কোনো কোনো হিসেব অনুযায়ী, প্রায় এক লাখ লোককে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কর্মকর্তারা তখনই বলছেন, এই মাসে দোভাষী ও তাদের পরিবারকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
২০ বছরের যুদ্ধক্ষেত্রে ত্যাগ করে গত কয়েক মাস ধরে আফগানিস্তান ত্যাগ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা। একই সময়ে বেড়ে গেছে তালিবানদের অভিযান।
সম্প্রতি তালিবানেরা জানায়, তাদের যোদ্ধারা ইতিমধ্যে আফগান ভূখণ্ডের ৮৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সরকারিভাবে এ দাবির বিরোধিতা করা হলেও অন্য কিছু সূত্র বলছে, দেশটির ৪০০টির জেলার অর্ধেকের মতো দখল করে নিয়েছে তালিবানেরা।
বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলো দখল করে রাজধানীকে ঘিরে ফেলা তাদের লক্ষ্য। সম্প্রতি দখল নেয় ইরান, তুর্কমিনিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং।