স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৮ জুলাই।। রাজ্যের অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লকগুলির আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লকগুলির জন্য চালু হয়েছে ট্রান্সফরমেশন অব অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লক কর্মসূচি।
রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ১২টি ব্লককে অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লক হিসেবে চিহ্নিত করে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। এই ১২টি ব্লকের পরিকাঠামো ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ চলছে।
ব্লকগুলির পরিকাঠামোগত বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সঠিক নজরদারির মাধ্যমে অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লকগুলিতে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে।
এই কর্মসূচি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদ ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর হচ্ছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের নোডাল এজেন্সি। গত জুন মাসে সচিবালয়ে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লকগুলির কাজকর্ম পর্যালোচনা করা হয়।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও উদ্যান চাষ, মৎস্য, প্রাণীপালন, পঞ্চায়েত সহ গ্রাম উন্নয়ন, পানীয় জল, স্বাস্থ্যবিধি ও গ্রামীণ বিদ্যুতায়ণ, সমাজকল্যাণ ও পুষ্টি এবং তথ্য প্রযুক্তি এই নয়টি মুখ্য ক্ষেত্রের সাফলোর উপর ভিত্তি করে এই পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সম্প্রতি সচিবালয়ে এক বৈঠকে মুখ্য সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের উপস্থতিতে অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লক কর্মসূচির পর্যালোচনা করেছেন।
অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লকগুলিতে ৯টি ক্ষেত্রের সাফল্যের সূচকের উপর ভিত্তি করে অ্যাসপিরেশন্যাল ব্লকগুলির ডেল্টা রেংকিং তৈরী করা হয়েছে। এতে সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে রূপাইছড়ি ব্লক। তারপর যথাক্রমে রয়েছে শিলাছড়ি, করবুক, তুলাশিখর, অম্পি, ডম্বুরনগর, ছামনু এবং গঙ্গানগর ব্লক।
বিভিন্ন ব্লকে দপ্তরগুলির সাফল্যের নিরিখে তুলাশিখর ব্লকে ৭৬.১১ পয়েন্ট, ছামনু ব্লকে ৬৬.৪৮ পয়েন্ট, দামছড়া ব্লকে ৬৭.১৭ পয়েন্ট, করবুক ব্লকে ৭৯.১৯ পয়েন্ট ও মুঙ্গিয়াকামী ব্লকে ৭৬.৭৭ পয়েন্ট নিয়ে সমাজকল্যাণ ও সামজশিক্ষা দপ্তর শীর্ষে রয়েছে। দশদা ব্লকে ৮১.০১ পয়েন্ট, শিলাছড়ি ব্লকে ৮০.০৭ পয়েন্ট ও গঙ্গানগর ব্লকে ৭৩.৭৬ পয়েন্ট নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর শীর্ষে রয়েছে।
রইস্যাবাড়ি ব্লকে মৎস্য দপ্তর ৭৮.৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, অম্পি ব্লকে ৭২.৪৮ পয়েন্ট, ডম্বুরনগর ব্লকে ৭২.০৬ পয়েন্ট নিয়ে ও রূপাইছড়ি ব্লকে ৮০.২৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর শীর্ষে রয়েছে। সমস্ত দপ্তরগুলির মধ্যে ৬৮.২৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর।
এই ডেল্টা র্যাংঙ্কিং প্রতি তিন মাস অন্তর পর্যালোচনা করা হবে। ত্রিপুরা সরকারের অবর সচিব মনোজ কুমার সাহা এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানিয়েছেন।