অনলাইন ডেস্ক, ২৮ জুলাই।। করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দাপট। মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে প্রাণহানি, হিমাচলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর এবার কোপ পড়ল কাশ্মীর উপত্যকায়। সরকারি মতে উপত্যকায় প্রবল বৃষ্টিতে এখনও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেসরকারি মতে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। নিখোঁজ ৩০-এর বেশি মানুষ। কিস্তদ্বার জেলার হোনজার গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে এই বিপর্যয় নেমেছে কাশ্মীরে। জখম হয়েছেন ১২ জন। তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতে, বুধবার সাড়ে ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ হোনজার গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। যা হোনজার গ্রামকে ভাসিয়ে দিয়েছে। এই বিপর্যয় এত ভোরে দেখা দেয় যে স্থানীয় বেশিরভাগ মানুষই সেই সময় তখন ঘুমোচ্ছিলেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যায় ৫ থেকে ৬ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ।
তাদের মধ্যে সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ৩০ জন। প্রবল বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। রাস্তা ভেঙেচুরে গেছে। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। মোবাইল ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনাবাহিনী। এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃতব্যক্তির নাম পরিচয় জানা গেছে। তাদের নাম শাজা বেগম (৬৫), রাকিল বেগম (২৪), গুলাম নবী ও আবদুল মজিদ। বাকিদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘কার্গিল ও কিস্তদ্বার জেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনার দিকে নজর রেখেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সকলের সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনার করি’। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টির কবলে পড়ে কার্গিল। একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সহ কয়েকটি বাড়ির ক্ষতি হয়। তবে কোনও হতা-হতের খবর নেই। এদিকে কাশ্মীরে আগামী কয়েক দিনে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ।