Crisis: দৃষ্টিহীন মা ও স্ত্রী, দিব্যাঙ্গ ভ্রাতৃবধূ অভাব- অনটনে অসহায় উপজাতি রইচ্যং হালামের পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, আমবাসা, ২৫ জুলাই।।
ধলাই জেলার আমবাসার জামথুম এডিসি ভিলেজে রইচ্যং হালাম দৃষ্টিহীন মা ও স্ত্রীএবং দিব্যাঙ্গ ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে। সরকারি কোন সাহায্য সহায়তা পাচ্ছে না। আমবাসার জামথুম এডিসি ভিলেজে একই পরিবারের তিনজন দিব্যাঙ্গকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে এক উপজাতি পরিবার।

এই অবস্থায় রইচ্যং হালাম (২৮) দিন মজুরী কাজ করে অভাব অনটনের মধ্যে সংসারের ঘানি টেনে চলছে। এই হালাম পরিবারটি কি অবস্থায় আছে চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।কমলপুর মহকুমার সালেমা ব্লকের অন্তর্গত প্রত্যন্ত জামথুম এডিসি ভিলেজের চার নং ওয়ার্ডের বংবাড়ি পাহাড়ী গ্রাম।

এই প্রত্যন্ত পাহাড়ী জামথুম বাড়ি এডিসি ভিলেজে হালাম উপজাতি সম্প্রদায়ের বসবাস। গত কুড়ি বছর আগে গ্রামের পরমচ্যং হালামের (৬০) স্বামী বিদ্যাজয় হালাম কঠিন রোগে মারা যাওয়ার পর ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের প্রতি পালন করে অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে সংসার চালাতে থাকেন। এরমধ্যে হঠাৎ পরমচ্যং হালাম (৬০) অন্ধ হয়ে যান। চিকিৎসা করাতে পারেনি অর্থের অভাবে।

ছেলে রইচ্যং হালাম (২৮) দিনমজুরের কাজ করে সংসারের হাল ধরে। গত দেড় বছর আগে রইচ্যং হালাম বিয়ে করে। বিয়ে করার পর তার স্ত্রী জাপানজয় হালাম যমজ ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর থেকে স্ত্রী জাপানজয় হালাম সম্পূর্ন রূপে দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। অর্থের অভাবে আজ পর্যন্ত চোখের কোন চিকিৎসা করাতে পারেনি।

বর্তমানে পরিবারের লোক সংখ্যা আট জন। এপিএল ভূক্ত পরিবার। একদিকে মা ও স্ত্রী অন্ধ, অন্যদিকে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অসমা রিয়াং দিব্যাঙ্গ। পরিবার প্রায় অচল। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রইচ্যং হালাম সংসার প্রতিপালনে হিমসিম খাচ্ছে।

সে বাংলা বুঝে, কিন্তু বলতে পারে না। এই অবস্থায় রইচ্যং হালামের অভিমত, সরকারের সাহায্যে চিকিৎসা পেলে হয়তো তার মা স্ত্রী অন্ধত্ব কাটিয়ে উঠে চোখে দেখতে পাবে। এদিকে, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী দিব্যাঙ্গ অসমা রিয়াং আজ পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন সাহায্য পায় নি বলে জানান।

এই হালাম পরিবারটি অভাব অনটনের মধ্যে দিনগুজরান করায় জামথুম এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজ সেবী অনুকূল দেববর্মা সহ কয়েকজন এগিয়ে এসে কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন।

কিন্তু, সামান্য অর্থ দিয়ে কি হয়। এই পাহাড়ি গ্রামের সবাই চাইছে, এই হালাম পরিবারটিকে সরকারি ভাবে চিকিৎসার সুযোগ ও পরিবার প্রতি পালনের ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে সাহায্য দেওয়া হোক। তাদের দাবী সরকার একটু নজর দিলে হয়তো এই হালাম পরিবারটি বেঁচে যাবে।

প্রতিটি দৃষ্টিহীন পরিবারের যেখানে বিপিএল রেশন কার্ড দেওয়া সেক্ষেত্রে একই পরিবারে দুজন দৃষ্টিহীন সহ মোট তিনজন শিবরাত্রির দিব্যাঙ্গ লোকজন থাকা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত বিপিএল রেশন কার্ড না পাওয়ায় স্থানীয় জনমনে ও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?