অনলাইন ডেস্ক, ২৫ জুলাই।। ভাগ্যিস ম্যাথু ওয়েড ছিলেন। সাত নম্বরে নেমে ব্যাটিংয়ে হাল না ধরলে শতরানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ৪৫ রানে টপ-অর্ডারের ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল অজিরা। সেখান থেকে মিশেল স্টার্কের (১৯) সঙ্গে ৫১ ও অ্যাডাম জাম্পার (৩৬) সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে দলের বিপর্যয় সামাল দেন ওয়েড।
দলীয় ১২৮ রানে যখন অষ্টম উইকেট হিসেবে আলঝেরি জোসেফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরছেন তখন তার নামের পাশে ৬৮ বলে ২ চারে ৩৬ রান। তবে তার এই মাটি কামড়ানো ব্যাটিংই শেষ পর্যন্ত অজিদের বাঁচিয়েছে শতরানের নিচে আউট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে।
ওয়েড ফেরার পর ওয়েস অ্যাগারকে (৪১) নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন জাম্পা। শেষ পর্যন্ত ৪৭.১ ওভারে ১৮৭ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া। তবে এই স্বল্প পুঁজি নিয়ে হার এড়াতে পারেনি তারা।
১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডারের ফিফটিতে ৪ উইকেটের জয় তোলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে তারা। সেই সঙ্গে তিন ওয়ানডে সিরিজেও ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল ক্যারিবীয়রা।
বারবাডোজের কেনসিংটন ওভালে শনিবার রাতে মাঠে গড়ায় বৃহস্পতিবার স্থগিত হওয়া দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় এক রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আকিল হোসেনের স্পিনে ৪৫ রানে টপ-অর্ডারের ৬ উইকেট হারিয়ে বসে অজিরা। সেখান থেকে টেল-এন্ডারদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া।
তবে মামুলি রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে বেশ বিপাকে পড়তে হয় উইন্ডিজকে। স্টার্কের তোপে দলীয় ৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে ৯৩ রানের জুটি গড়েন হোল্ডার-পুরান। দুজন বিচ্ছিন্ন হন ১৬৫ রানে। স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন হোল্ডার। তার ৬৯ বলে ৫২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার ও ১ ছয়ে। এরপর জোসেফকে (৫) নিয়ে জয়ের বাকি কাজ সারেন পুরান। তার ৭৫ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ চার ও ২ ছয়ে। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন পুরান।