১. সকালে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করবেন না। বেশিক্ষণ পানিতে থাকলে ত্বকের প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল অয়েল দূর হয়ে যায়, যা ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলে।
২. যে সাবানে ক্ষার আছে, সেটা ব্যবহার না করাই ভালো। অয়েল বেইজড সাবান ব্যবহার করুন। এতে ত্বক সহজে শুষ্ক হবে না। আপনি চাইলে অয়েল বেইজড শাওয়ার জেলও ব্যবহার করতে পারেন। গরমের এই সময়টাতে এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখবে।
৩. গোসলের পর ভেজা থাকা অবস্থায় পুরো শরীরে আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য অয়েল হাতে নিতে হালকাভাবে মুখসহ পুরো শরীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে, আবার তেলতেলেও করবে না। এ ছাড়া সাবান ব্যবহারের পর ত্বকে যে অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দেয়, সেটি দূর করতেও এই অয়েল বেশ কার্যকর।
৪. ভুলেও অয়েল বা ক্রিম বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে ঠিকই, কিন্তু এটি ব্যবহারের পর ত্বক অনেক বেশি ঘামাবে, যা আপনার শরীরের গরম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। এ ক্ষেত্রে বেশি করে ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
এটি সারা দিন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ৫. শরীর ও মুখের পাশাপাশি পায়ের যত্ন নিতেও ভুলবেন না। শীতের মতো এই আবহাওয়ায়ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে। গোসলের সময় পাথরে ঝামা দিয়ে নিয়মিত পা ঘষে নিন। এর পর বেশি করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। দেখবেন, পা তেলতেলে হবে না, তবে নরম ও মসৃণ থাকবে।