Surveillance: ‘পেগাসাস’ ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার সৌদি আরবের

অনলাইন ডেস্ক, ২৩ জুলাই।। স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ ব্যবহার করে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। এ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) গত বুধবার জানিয়েছে, সৌদি আরবের একটি মহল সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের স্মার্টফোনে নজরদারি করেছে—সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছেন সৌদি সরকারের একজন কর্মকর্তা।

সংবাদ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযোগের পেছনে কোনো সত্যতা নেই বলে সৌদি সরকারের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এমন কর্মকাণ্ড সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে সৌদি সরকারের ওই কর্মকর্তার নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

যদিও পেগাসাস ব্যবহার করে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির ফোনে আড়ি পাতার বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সৌদি অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল। বিভিন্ন তদন্তে উঠে এসেছে, এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবরাজ।

ফরেনসিক বিশ্লেষণ বলছে, জামাল খাসোগিকে হত্যার আগে ও পরে তার ঘনিষ্ঠজনদের মুঠোফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। আড়ি পাতা হয়েছিল খাসোগির স্ত্রী হানান এলাতার ও তার বাগদত্তা হেতিজে চেঙ্গিসের ফোনে। খাসোগি হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ দুই তুর্কি কর্মকর্তার ফোনেও এভাবে আড়ি পাতা হয়।

ইসরায়েলের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে আইফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ই-মেইল, কল রেকর্ড বের করা যায়। এই স্পাইওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই মাইক্রোফোন চালু করে দিতে পারে।

পেগাসাস ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়ি পাতার ঘটনা সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন দেশের অধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা। এমনকি কোনো কোনো দেশে ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের ওপরও আড়ি পাতা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এনএসওর গ্রাহকেরা এসব ব্যক্তির স্মার্টফোনে আড়ি পেতেছে। এনএসওর গ্রাহক তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশের নাম জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। যদিও এনএসও তাদের গ্রাহকতালিকা প্রকাশ করেনি।

এনএসও গ্রুপের একটি তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত ৫০ হাজার ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে। সেগুলো নিয়ে কয়েক মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে স্মার্টফোনে আড়ি পাতার এই ঘটনা প্রকাশ করেছে ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?