স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ২৩ জুলাই।। শুক্রবার সাত সকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বাড়ির সম্মুখে একটি গো মুন্ডি পরে থাকতে দেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ধর্মনগর মহকুমার প্রত্যেকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইচাই বরুয়াকান্দির ২ নং ওয়ার্ড এলাকা।
গো হত্যা এবং উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গো মুন্ডি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ির সামনে রাখায় জড়িতদের গ্রফতারের দাবি নিয়ে দীর্ঘক্ষন ধর্মনগর কদমতলা সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে প্রায় দুপুর ১ টা পর্যন্ত চলে এই পথ অবরোধ।
এই ঘটনা চাউর হতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তর জেলা সভাপতি ননী গোপাল দাস, অন্তরাষ্ট্রীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অভিনাশ কৃষ্ণ দাসরাও ছুটে যান ঘটনা স্থলে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন গো মুন্ডি যেই জায়াগা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় স্থান , সেখানে একটি রূপসী গাছ ও রয়েছে ।
ঘটনা সম্পর্কে প্রথমে স্থানীয় কদমতলা থানায় জানানো হলেও পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছতে অনেকটাই দেরি করে বলে জানা গেছে,গোটা ঘটনা কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ধিরে ধিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে , পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং হিন্দু সেনার নেতৃত্বদের নেতৃত্বে স্থানীয়রা পথ অবরোধ শুরু করে ।
জানা গেছে একটা সময় স্থানীয়রা আঁচ করতে পারে এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকারই বাসিন্দা লালা মিয়া,সাথে সাথে পুলিশ সহ স্থানীয়রা লালা মিয়ার বাড়িতে গেলে লালা মিয়া বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে
পুলিশ লালা মিয়া কে না পেয়ে লালা মিয়ার স্ত্রী কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।লালা মিয়াকে পুলিশ গ্রফতার না করতে পারায় আরও ক্ষোব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয়রা।
কদমতলা থানার পুলিশ দীর্ঘক্ষন অবরোধকারিদের সাথে কথা বলেও ধর্মনগর কদমতলা সড়ক অবরোধ মুক্ত করতে সক্ষম হয়নি। পরে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আইপিএস কান্তা ঝাংগির।
অবরোধকারীরাও তাদের কথায় অনড় থাকে। অভিযুক্তদের ফ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ মুক্ত করবে না,আন্দোলনটি পরবর্তীতে আরও তীব্র আকার ধরন করতে থাকে।
রাস্তায় অবরোধকারী গাছে ডাল এবং গাড়ির টায়ার পর্যন্ত পুড়ায়। এদিকে মহকুমা পুলিশ আদিকারিকের নেতৃত্বে কদমতলা থানার পুলিশ তদন্ত চালিয়ে লালা মিয়ার বাড়ির সীমানার ভেতর থেকেই গাইয়ের অবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ সময় পুলিশ অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে সড়ক অবরোধ মুক্ত করতে না পারায় প্রচুর যানবাহন জমতে থাকে অবরোধ স্থলের দু’ধারে।
অবশেষে কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারিদের সাথে আলচনা ক্রমে আগামীকালকের মধ্যে ঘটনার সুরহা এবং স্থানীয়দের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে দুপুর প্রায় একটা নাগাদ সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। আনুমানিক প্রায় ৪ ঘণ্টা যাবত পথ অবরোধের কারনে অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকারও হয়েছেন।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ লালা মিয়া সহ তার পরিবার কয়েক বছর পূর্বেই ভারতে এসে এখানে বসবাস শুরু করেছে।আর এলাকার হিদু সম্প্রদায়ের লোকজনদের ধর্মীয় আস্থায় আঘাত করার লক্ষেই উদ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবেই সে এই ঘটনা করেছে। আগামীকালকের মধ্যে ঘটনার লালা মিয়া গ্রফতার না হলে স্থানীয়রা আবারও আন্দোলনে সংঘটিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।