স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ২৩ জুলাই।।
নিশিকুটুম্বদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না বিশালগড় থানার পুলিশের। রাতের আঁধার নেমে এলে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রসহ মাঠে নেমে পড়ে চোর ছিনতাই বাজরা।
কখনো স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, কখনো মোবাইল ফোন ছিনতাই, কখনোবা নগদ টাকা আবার কখনো মানুষের বাড়িঘর থেকে গবাদিপশু চুরি যাওয়া বিশালগড়ে এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনি আরও একটি ঘটনা ঘটেছে আগরতলার – সাব্রুম জাতীয় সড়ক লাগোয়া বিশালগড় থানাধীন জাঙ্গালিয়া স্কুল সংলগ্ন নিরঞ্জন দেবনাথ এর বাড়িতে। জানা যায় অন্যান্য দিনের মত বৃহস্পতিবার রাতেও নিরঞ্জন দেবনাথ এর স্ত্রী তাদের গাভীগুলি কে খাবার খাইয়ে ঘরে বেঁধে ঘুমাতে যায়।
কিন্তু শুক্রবার সকালে উঠে দেখে তাদের মোট পাঁচটি গরুর মধ্যে থেকে দুটি গাভী ঘরে নেই। পরে পার্শ্ববর্তী এলাকায় খোজ খবর নেয়। কিন্তু কোথাও গরুগুলোর কোন খোঁজ মেলেনি। গাভীগুলির বাজার মূল্য প্রায় এক লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানায় নিরঞ্জন দেবনাথ এর স্ত্রী।হত দরিদ্র এই পরিবারটির আয়ের মূল উৎস এই গাভী গুলি।
আগরতলার সাবরুম জাতীয় সড়ক লাগোয়া বাড়ি থেকে যদি এই ধরনের “পুকুর চুরির” ঘটনা ঘটে তাহলে গ্রামাঞ্চল গুলোর নৈশকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকটা থানায় বিট পেট্রোলিং এর জন্য যেই বাইক গুলি দিয়েছেন তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
অভিযোগ পুলিশ যদি এই বাইক গুলির যথাযথ ব্যবহার করে তবে নৈশকালীন অপরাধের ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে। বিশালগড় এর বিভিন্ন এলাকায় নিশিকুটুম্ব ওদের তৎপরতা রুখতে বিশালগড় থানার কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলছে সাধারণ মানুষ জন।