অনলাইন ডেস্ক, ২৩ জুলাই।। ইইউ সদস্য দেশ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ব্রিটেনের একমাত্র স্থলসীমান্তে নিয়ন্ত্রণ এড়াতে ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে বিশেষ ‘নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল’ নামের যে ধারা রাখা হয়েছিল, তাতে এখন পরিবর্তন আনতে চান বরিস জনসন।
অনেক আলোচনা, সমালোচনার পর গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায় ব্রিটেন। বিভক্ত আইরিশ ভূখণ্ডের দুই অংশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতেই চুক্তিতে ওই ধারা রাখা হয়েছিল। ফলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ব্রিটেনের বাকি অংশের মধ্যে কার্যত নতুন এক সীমা সৃষ্টি হয়েছে।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সেই ধারাকে ব্রিটেনের বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরলেও এখন বেঁকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি নতুন করে দরকষাকষি করতে ইইউ-র উপর চাপ সৃষ্টি করছেন।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে জনসন আবেদন-নিবেদন থেকে শুরু করে হুমকিও দিয়েছেন। ফন ডেয়ার লাইয়েন নতুন করে ‘নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল’-এ কোনোরকম পরিবর্তনের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। তবে সেই চুক্তির কাঠামোর মধ্যে ‘সৃজনশীল’ ও ‘নমনীয়’ কোনো সমাধানসূত্র নিয়ে আলোচনা করতে তার আপত্তি নেই।তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডে স্থিতিশীলতার স্বার্থে এবং অনিশ্চয়তা এড়াতে উভয় পক্ষের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
বরিস জনসনের সরকার বুধবার ‘নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রোটোকলে’ পরিবর্তনের কিছু প্রস্তাব মেনে নেবার জন্য ব্রাসেলসের উদ্দেশ্যে ডাক দিয়েছিল। ব্রেক্সিটের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট বলেন, বর্তমান বিধিনিয়মের কারণে উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি হুমকির মুখে পড়েছে। তাই ন্যায্য ও বাস্তবসম্মত সমাধানসূত্রের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।