অনলাইন ডেস্ক, ২৩ জুলাই।। গত কয়েক দিনে মার্কিন সামরিক বাহিনী আফগানিস্তানে তালিবানদের অবস্থান লক্ষ্য করে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। দেশটির সরকারকে সাহায্য করতেই এ পদক্ষেপ, বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে পেন্টাগন। খবর সিনহুয়ার।আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে প্রায় শেষ। এর মধ্যেই বিমান হামলা চালানো হলো।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, “গত কয়েক দিনে এএনডিএসএফ’কে (আফগান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্সেস) সহযোগিতা করতে আমরা দেশটিতে বিমান হামলা চালিয়েছি।”তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়নি।এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে এ রকম হামলা চলবে।আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি সেন্ট্রাল কমান্ড জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি হামলার বৈধতা দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তা এপি’কে বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী বুধবার ও বৃহস্পতিবার আফগান বাহিনীকে সহযোগিতায় চারবারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান বাহিনীর কাছ থেকে তালিবানের দখলে নেওয়া সামরিক সরঞ্জামাদি লক্ষ্য করে কমপক্ষে দুই দফা বিমান হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া তালিবানের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে আরও কয়েক দফা হামলা চালানো হয়েছে। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে কমপক্ষে এক দফা বিমান হামলা চালানো হয়।
সংঘাতপূর্ণ এ দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় এবং মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হওয়ার মধ্যেই এসব বিমান হামলা চালানো হলো। যদিও এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিলেন, ভবিষ্যতে আফগানিস্তানকে নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে।স্থানীয় সময় গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও আফগান সরকারকে সহযোগিতা দেবে।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, তালিবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানের ৪১৯টি জেলার অর্ধেক দখল করে নিয়েছে।৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হবে। ৯৫ শতাংশেরও বেশি কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মে মাস থেকেই তালিবানরা আফগানিস্তানে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।