অনলাইন ডেস্ক, ২২ জুলাই।। আফগান জনগণকে দেশের কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কৌশলকে নীতি হিসেবে নিয়েছে তালিবানেরা। বর্তমানে তারা পশ্চিমা-সমর্থিত কাবুল সরকারের সঙ্গে গ্রামের অর্ধেক জনসংখ্যার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে আল জাজিরা।
বুধবার পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বাহিনীর প্রধান মার্ক মিলি জানান, তালিবানদের এ কৌশল আফগান জনগণ, নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারের ইচ্ছা ও নেতৃত্বকে পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছে।
আফগানিস্তানের ৪১৯টি জেলার অর্ধেক এখন তালিবানদের দখলে। তারা ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর ওপর চাপ দিচ্ছে। তবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বলে এ শীর্ষ কর্মকর্তা জানান।
মিলি বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে জনসংখ্যার বড় অংশকে তারা বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে। একই কাজ কাবুলের সঙ্গেও করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এর প্রতিক্রিয়ায়, আফগান সরকারের বাহিনীগুলো জনসংখ্যার কেন্দ্রগুলোকে রক্ষায় একত্র হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। ঈদুল আজহার ছুটির পর যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।
কয়েক দিন আগে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকে মিলিত হয় আফগান সরকার ও তালিবান প্রতিনিধিরা।
তারা কোনো নিষ্পত্তিতে আসতে ব্যর্থ হলেও আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় যৌথ বিবৃতিতে। একে তালিবানদের কৌশলগত বিজয় হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা মতে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর আফগান ত্যাগ প্রায় শেষের পথে।
এর মাঝে আফগানিস্তানের বড় একটি অংশ চলে গেছে তালিবানদের দখলে। কিছুদিন বাইডেন এও বলেছিলেন, ভবিষ্যতে আফগানদের দায়িত্ব তাদের নিজেদেরই নিতে হবে।
এ দিকে ঈদুল আজহার প্রথম দিনে আফগানিস্তানে লড়াইয়ের তীব্রতা কমে এসেছে। সংঘাত শুরুর পর থেকে তালিবানরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ পালনের জন্য অঘোষিত অস্ত্রবিরতি পালন করে আসছে।
সারা দেশ থেকে আফগান সরকার ও তালিবানের মধ্যে সংঘাতের কোন খবর পাওয়া যায়নি তবে সকালে ঈদের নামাজের সময়ে রাজধানী কাবুলে রকেট হামলা হয়েছে।