Electrification: বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ৩৪টি পাওয়ার সাব স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে

স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ২২ জুলাই।। রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ৩৪টি পাওয়ার সাব স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে। বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজ করবুকে ৩৩ কেভি পাওয়ার সাব স্টেশনের উদ্বোধন করে একথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা।

ভারত সরকার ও বিশ্ব ব্যাঙ্ক এর আর্থিক সহায়তায় এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এই ৩৩ কেভি পাওয়ার সাব স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে। পাওয়ার সাবস্টেশনের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, বিগত সরকার ২০১০-২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করেছিল।

কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করেননি। রাজ্যে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি না করেই বিদ্যুৎ পরিষেবার সম্প্রসারণ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি পাওয়ার সাব স্টেশান নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। তাই তিনি সকলের কাছে আবেদন রাখেন বিদ্যুৎ বিল যেন কারোর বকেয়া না থাকে। এদিকে বিদ্যুৎ নিগমকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

উপমুখ্যন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পাওয়ার সাব স্টেশনের উদ্বোধন হয়েছে। বাকীগুলি আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চালু করা হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম এস কেলে।

ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন পাওয়ার গ্রীড কর্পোরেশন লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার এস আই সিং। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বুর্বামোহন ত্রিপুরা, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, এম ডি সি কাঙজাওঙ্গ মগ প্রমুখ। আজ অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মার সভাপতিত্বে করবুক বিএসি হলে অনুষ্ঠিত হয় এক পর্যালোচনা সভা।

অ্যাসপিরেশনাল ব্লক হিসেবে করবুক ও শিলাছড়ি ব্লক দুটির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বুর্বামোহন ত্রিপুরা, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, বিদ্যুৎ নিগমের এম ডি এম এস কেলে, গোমতী জেলার জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, করবুক ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অসীম ত্রিপুরা ও গোমতী জেলার বিভিন্ন দপ্তরের মহকুমাস্তরের আধিকারিকগণ। সভার শুরুতে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা করবুক ও শিলাছড়ি ব্লক এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় কি কি কাজ হয়েছে সে বিষয়ে পর্যালোচনা করেন।

পর্যালোচনা সভায় মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক জানান, এই প্রকল্পে করবুক ব্লকে ১৬০ টি এবং শিলাছড়ি ব্লকে ৭৬টি পরিবারকে মৎস্যচাষে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের আধিকারিক জানান, করবুক ব্লকে ৩ হাজার ১৮৩টি পরিবারকে ও শিলাছড়ি ব্লকে ২ হাজার ১৩৪টি পরিবারকে ফল ও সব্জীচাষে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান কার্যালয়ের আধিকারিক জানান, অটল জলধারা মিশনের আওতায় চলতি বছরে এখন পর্যন্ত করবুক ব্লকে ৯২৩টি ও শিলাছড়ি ব্লকে ১৪১টি পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সভায় কৃষি দপ্তরের আধিকারিক জানান, করবুক ব্লকে ৭,২৪৬ জন কৃষককে ও শিলাছড়ি ব্লকে ১,৫৩২জন কৃষককে পি এম কিষান প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

সভায় উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেববর্মা করবুক ও শিলাছড়ি ব্লকে আরও বেশী সংখ্যক কৃষকের জমি প্রধানমন্ত্রী ফসলবীমা যোজনার আওতায় আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর, শিক্ষা দপ্তর, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিনিধিগণও আলোচনায় অংশ নেন।

সভায় উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা করবুক ও শিলাছড়ি ব্লক এলাকায় এমজিএনরেগার মাধ্যমে স্থায়ী সম্পদ তৈরী করা ও স্ব-সহায়ক দলগঠনের মাধ্যমে আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার জন্যও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সভায় তিনি তীর্থমুখ মেলা প্রঙ্গনের উন্নয়নে একটি প্ল্যান তৈরী করার জন্যও মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেন৷

সভায় উপমুখ্যমন্ত্রী করবুক ও শিলকাছড়ি ব্লকে পিএম কুসুম প্রকল্পে কৃষকদের সাবসিডির মাধ্যমে সোলার পাম্পসেট প্রদান, প্রত্যেকটি ভিলেজে সোলার পাওয়ার গ্রীড বসানো সহ বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট নির্মাণ ও স্ট্রিটলাইট বসানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।

তাছাড়া করবুক ও শিলাছড়ি ব্লকে একটি বায়োভিলেজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলেও জানান।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?