স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ জুলাই।। শহর এলাকার উন্নয়নে টুডা যেসব প্রকল্পের কাজ রূপায়ণ করছে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণ কাজের গুণগতমানও যাতে বজায় থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। আজ সচিবালয়ের ১ নং সভাকক্ষে ত্রিপুরা আরবান প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (টুডা) বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা আরবান প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (টুডা) রাজ্যে যে সমস্ত প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করছে সেগুলির প্রচারের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। উন্নয়ন কর্মসূচিগুলির লক্ষ্য ও তার কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই জনগণ এসমস্ত প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন ও তার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সভায় ত্রিপুরা আরবান প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান তথা নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব কিরণ গিতো টুডার সর্বশেষ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি জানান, টাউনশিপ প্রকল্পে বিবেকানন্দ মার্কেট এলাকায় ৪৮টি ফ্ল্যাট, কুঞ্জবন ভগৎ সিং আবাস সংলগ্ন স্থানে ২১৬টি ফ্ল্যাট এবং নন্দননগরে ৩৯২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে।
এরমধ্যে বিবেকানন্দ মার্কেট এলাকায় এবং কুঞ্জবন ভগৎ সিং আবাস এলাকায় ফ্ল্যাট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগরতলার পুরাতন কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের স্থানে আই টি পার্ক নির্মাণ পরিকল্পনার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টাউনশিপ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণকাজের গুনগতমান যাতে বজায় থাকে সেদিকেও গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফ্ল্যাটগুলোতে উন্নত পার্কিং ব্যবস্থা সহ সব ধরণের সুযোগ সুবিধা রাখার বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।
চায় সচিব কিরণ গিত্যে আরও জানান, আগরতলার পুরাতন কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের জায়গাতে ৩ একর জায়গা নিয়ে আই টি পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই আই টি পার্কের প্রশাসনিক ভবন ও লাইব্রেরী বিল্ডিং-এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
সভায় টুডার কমিশনার তমাল মজুমদার জানান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের অর্থানুকুল্যে রাজ্যের ৭টি জেলা সদরের এবং ১৩টি নগর সংস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এরজন্য ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টুডার গৃহীত প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে দপ্তরের আধিকারিকদের স্বচ্ছতার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই প্রকল্পগুলি রূপায়ণে সফলতা আসবে।
সভায় অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব জে কে সিনহা, পরিবহন দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রীরাম তরুনীকান্তি, পরিকল্পনা ও সমন্বয় দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় ও এন আই টি ত্রিপুরার অধিকর্তা হরিশ কুমার শর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।