অনলাইন ডেস্ক, ২০ জুলাই ।। প্রায় এক বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় থাকা পেরুতে এবার পেদ্রো কাস্তিলোকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকতা পেশা থেকে রাজনীতিতে আসা কাস্তিলো দেশটির ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা নির্বাচনী লড়াইয়ে জয়লাভ করলেন।
গত বছর নভেম্বরে এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে তিনজন প্রেসিডেন্টের উত্থান-পতন দেখা যায়। দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসন করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যানুয়েল মেরিনো। কিন্তু তার বিরুদ্ধেও দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু করেন ভিজকারার সমর্থকেরা। সপ্তাহ না পেরোতেই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
এর মধ্যেই পেরুর কংগ্রেস ৭৬ বছর বয়সী বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ফ্রান্সিসকো সাগাস্টিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে। জুলাই পর্যন্ত তার দায়িত্ব ছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রাজনৈতিক সংকট নিয়ে দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ঘটেছে গত বছর। প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিশংসন করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ম্যানুয়েল মেরিনো। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। মূলত এরপর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তাল হতে থাকে পেরু।
পেরুর সাবেক ওই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ৫৭ বছর বয়সী আইনপ্রণেতা মার্টিন ভিজকারার। তিনি ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হলেও কংগ্রেসে তার পক্ষের লোক ছিলেন না।
৫১ বছর বয়সী কাস্তিলিও প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক ও ইউনিয়ন নেতা ছিলেন। নির্বাচনের জয়ের জন্য ৫০ ভাগ ভোট নিশ্চিত করেন তিনি।পেরুর বর্তমান প্রেসিডেন্ট এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন। আগামী ২৮ জুলাই শপথ নেবেন কাস্তিলো।