স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ১৯ জুলাই।। অবশেষে পুলিশের জালে ১৬ বছর বয়সী নাবালিকা ধর্ষণ ও ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কান্ডে অভিযুক্ত বিজেপি দলের বহিষ্কৃত নেতা তথা বহিস্কৃত বুথ প্রেসিডেন্ট শ্যামল সরকার কে সোমবার রাতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জানা যায়, গত ১৬ই জুলাই তেলিয়ামুড়া থানায় ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মহারানীপুর কপালীটিলা এলাকার ১৬ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি দলেরই ২৪ নং বুথের বুথ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। মেয়েটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল একমাস যাবত নির্জনতা সুযোগ নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কলেজে শ্যামল সরকার।
এ বিষয়ে তেলিয়ামুড়া থানায় একটি মামলা রজু করা হয়েছিল নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে।মামলা হাতে পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ তৎপর হয়ে বিজেপি দলের বহিস্কৃত নেতা কে পাকড়াও করতে ময়দানে নামে অভিযুক্ত শ্যামল সরকার কে পাকড়াও করতে। যদিও মামলা দায়ের হওয়ার পর সিমা সরকার গা ঢাকা দিয়েছিল।
সোমবারই তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের কাছে গোপনে খবর আসে নাবালিকা ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা কান্ডের মূল অভিযুক্ত তথা বিজেপি দলের থেকে বহিস্কৃত নেতা শ্যামল সরকার নিজ বাড়িতে রয়েছে। সেই খবর মোতাবেক তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ সাদা পোশাকে অভিযুক্ত তথা ধর্ষক শ্যামল সরকারের বাড়ি গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে তেলিয়ামুড়া থানার ও.সি নাড়ুগোপাল দেব জানান,গোপন খবরের ভিত্তিতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ সাদা পোশাকে ধর্ষক শ্যামল সরকারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার রাতেই তাকে মেডিকেল টেস্ট করানো হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল। এদিকে সংবাদ আরো জানা যায় শ্যামল সরকার কে বাঁচানোর জন্য এক সময় দলীয় কিছু কর্মকর্তা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বিষয়টি রফাদফা করার জন্মের সালিশি সভা খুব ঘটা করে আয়োজন করেছিল।
দুঃখের বিষয় সে সালিশি সভায় অভিযুক্ত শ্যামল সরকারের পক্ষে কেউই কথা বলেনি। এমনও অভিযোগ উঠেছে ঘটনাটি রফাদফা করার জন্য ৪০০০০ টাকা লেনদেনের কোথাও হয়েছিল।
কিন্তু এই সালিশি সভায় ওই মেয়েটির পরিবার তথা নাবালিকা মেয়েদের পরিবার না মানায় সভ্য সমাজের অসভ্য নিদর্শন এর দৃশ্য উঠে এলো।