স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ১৯ জুলাই।। এলাকাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রাস্তার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ। ঘটনা উত্তর জেলার যুবরাজনগর ব্লকের অধীন ঢুপিরবন্ধ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ৬ নং ওয়ার্ডের এই রাস্তাটি নির্মানের। বাম আমলে সাধারন মানুষ নেতাদের মুখে শুধু কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাই শুনে আসছিল। রাজ্যে পালা বদলের পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে সরকার রাজ্যের উন্নয়নে লক্ষে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করছে ।
এই উন্নয়নের ছুঁয়া রাজ্যে তৃনমূল স্তর পর্যন্ত যাতে পৌঁছে যায় সেই লক্ষেই কাজ করছে রাজ্যের নতুন সরকার , কিন্তু কিছু আমলা এবং পঞ্চায়েত স্তরের চুনোপুঁটি নেতাদের কারনেই সরকারকে বার বার কাঠ গড়ায় দার করাচ্ছেন সাধারণ জনগন। তবে এখন রাজ্যের জনগন ধিরে ধিরে বুঝতে পারছেন একাংশ চুনোপুঁটিরা যে নিজেদের সার্থ সিদ্ধি করছে যার কারনেই জনগন কে ভুগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উত্তর জেলার যুবরাজনগর ব্লক এলাকা কিভাবে অবিভাবকহীনতায় ভুগছে তা নিয়ে জোড় আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে কিছু চুনোপুঁটিরা আমলাদের সাথে মিলে দূর্নীতি করে চলেছে বলে অভিযোগ,পূর্বেও যুবরাজনগর ব্লকের অধীনে বেশ কিছু দূর্নীতির অভিযোগ সংবাদ শিরনামে উঠে এসেছে।
আজ আবারও একটি রাস্তা নির্মান কে কেন্দ্র করে দূর্নীতির অভিযোগ সংবাদ দফতের পৌছায়। কিন্তু সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গিয়ে এক আজব ভুতুরে কান্ড দেখতে পায় । রাস্তা জায়গায় রাস্তা নেই ,দু পাশে রয়েছে পুকুর ,এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত বছর খানেক আগে এখানে রাস্তা নির্মানের লক্ষে মাত্র ৩ থেকে ৪ দিন কাজ হয়েছিল।
এই রাস্তা হচ্ছে ঢুপিরবন্ধ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ৬নং ওয়ার্ডে ফকর উদ্দিনের বাড়ি থেকে শুরু হয়ে আব্দুল মালিকের বাড়ি হয়ে তামাজুল আলির বাড়ি পর্যন্ত। এলাকাবাসীদের অভিযোগ এখানে মাত্র ২থেকে ৪ দিন রাস্তার কাজ হয়েছে তারমধ্যে বাশের গর দেওয়ার কাজও হয়েছে।
সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকারও কাজ হয় নি রাস্তায়।এলাকাবাসীদের বক্তব্য ২০২০ সালের প্রথম দিকে এই রাস্তার কাজটি শুরু হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে পঞ্চায়েত প্রধান রমেন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়ে যায় তার পর এই রাস্তার কাজটি আর হয়নি।
বর্তমানে ঢুপিরবন্ধ গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান দ্বারাই পরিচালিত।আর ঢুপিরবন্ধ পঞ্চায়েতের উপ্প্রধানের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাই এলাকাবাসীরা উপ প্রধানের দিকেই আঙ্গুল তুলছেন এই রাস্তা নির্মানের টাকা গায়েব হওয়াতে।
খবর নিয়ে জানা গেছে রাস্তা নির্মানের জন্যে ইস্টিমেট করা হয় ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা , খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, এখন দেখার এই রাস্তা নির্মানের কাজের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ প্রকাশ্যে আশার পর সংশ্লীষ্ট দফতরের আধিকারিকরা কি ভূমিকা গ্রহন করেন।