Schoolgirl Pregnant : পাড়ার কাকার পাশবিক লালসার শিকার দশম শ্রেণির ছাত্রী মা হতে চলেছে

স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ১৬ জুলাই।।প্রতিবেশী ষোল বছরের নাবালিকা কিশোরীকে বাবার বয়সী বি জে পি বুথ প্রেসিডেন্টের দীর্ঘদিন ধর্ষণের পর ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা দশম শ্রেণীর পাঠরত ছাত্রী। গ্রামের সালিশি সভায় ধর্ষণ কাণ্ডের মতো ঘটনার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হলেও পরে থানায় মামলা দায়ের করে ধর্ষিতার পরিবার। এই মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন মহারানী পুর এলাকার কপালী টিলা এলাকায়।

অভিযুক্ত ধর্ষক তথা ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৪ নং বুথের বুথ প্রেসিডেন্ট শ্যামল সরকার। থানায় মামলা হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে শ্যামল সরকার। নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে শ্যামল সরকার কে নাবালিকা মেয়েকে কাকা হিসেবে ডাকত। একদিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ি অন্যদিকে পারাত্ব কাকা সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এলাকার বুথ প্রেসিডেন্ট।

আর সেই সুবাদে নাবালিকা মেয়েটির বাড়িতে আনাগোনা থাকতো দুপুরবেলা শ্যামল সরকারের। এদিকে মেয়েটির পরিবারের বাবা মা ছাড়া একটি ছোট বোন আছে। মেয়েটির বাবা-মা দিনমজুরের কাজ করে থাকেন। বাড়িতে নির্জনতার সুযোগ নিয়ে বিগত 6 মাস পূর্বে শ্যামল সরকার তথা কাকা দফায় দফায় ধর্ষণ করে।

ফলে নাবালিকা মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে থাকলেও সে বিষয়ে তাদের বাড়ির কারোকে জানায়নি।পনেরো কুড়ি দিন পূর্বে অন্তঃসত্ত্বা ব্যথার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে পুরো ঘটনাটি তার মাকে জানায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শ্যামল সরকার নড়ে চড়ে বসে। এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রয়াস চালাতে থাকে।

যদিও এই ঘটনা পুরোপুরি এলাকাবাসীদের কানে আসলেও এলাকার নেতা হওয়ার সুবাদে কেউই কোনো কিছু বলতে সাহস পায়নি। কয়েকদিন পূর্বে সালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয় কপালী টিলা মন্দিরে। সেই সময় ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন গ্রামের কয়েকজন মাতব্বর সহ শ্যামল সরকার।

কিন্তু সেই সভাতে কোনো কূলকিনারা না হয়নি। মেয়েটির বাবা ও পরিবারের লোকজন সভার নির্দেশ পছন্দ না হওয়াতে তেলিয়ামুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ শ্যামল সরকারের বাড়িতে গোপন ভাবে ধরার জন্য গেলেও পুলিশ পৌঁছার আগেই গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে এ ঘটনার ছি:ছি:রব উঠেছে গোটা এলাকায়।

এলাকাবাসীর সূত্রের খবর সালিশি সভায় ধর্ষিতার পরিবারকে চল্লিশ হাজার টাকায় মীমাংসা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ধর্ষিতার পরিবার সেই মীমাংসা মানতে নারাজ ।পরে আইনের সহায়তা আশ্রয় নিয়েছে সেই নির্যাতিতার পরিবার। এদিকে এই ঘটনার শ্যামল সরকারের কঠোর শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসীরা।

এদিকে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলার নম্বর 86/21/TLM/PS. 376/506 IPC/4 POSCO ।তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?