স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ জুলাই।। নন্দননগরের ডা. বিধান দাস৷ এমবিবিএস ডি এম সি ডব্লু, এম ডি ডাক্তার সাহেবের নামের সাইন বোর্ডে লেখা আছে ডিগ্রিগুলি৷ অ্যানেস্থেসিয়া, মেডিসিন, ডায়াবেটিস, প্রসূতি স্ত্রী রোগ, শিশুরোগ৷
পথ চলতি মানুষ অনেক সময় হা করে দাঁড়িয়ে থাকেন৷ একটা মাত্র এমডি ডিগ্রি দিয়ে এতগুলি শাখায় চিকিৎসা কি সম্ভব?
আমরা হাসপাতালে অ্যানেস্থেসিয়াসিস্ট পাই, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পাই, ডায়াবেটিস পাই, গাইনোকোলজিস্ট পাই, তারপর পাই শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, প্রত্যেকটি বিভাগেই আলাদা আলাদা এমডি করতে হয় বিশেষজ্ঞ হতে গেলে৷ কিন্তু এমবিবিএস ডিগ্রি নিলে মোটামুটি সব বিভাগেরই চিকিৎসা করা যায়৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞের খাতায় নাম লেখাতে গেলে একটি শাখায় একবারই এমডি লেখা যায়৷
ডা. বিধান দাস এমবিবিএস করার পর ডিএমসিডব্লু অর্থাৎ ডিপ্লোমা ইন মেটারনিট অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েল- ফেয়ারের একটি কোর্স করেছেন৷ যেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা নতুন শিশু, নতুন মা, বা ডেলিভারির আগে বা পরে মা ও শিশুর কি কি সমস্যা হতে পারে তখন কি করা উচিত এসবই শেখানো হয়৷
কিন্তু ডাক্তার বাবুর সাইন বোর্ডে এতগুলো লেখা নিয়ে অনেক বড় বড় বিশেষজ্ঞ নেতি বাচক মন্তব্য করেছে৷ তাদের বক্তব্য ছিল বিধান দাস নন্দননগরে বলেই হয়ত এতগুলি ব্রাঞ্চের চিকিৎসা করতে পারেন বলে বলেছেন৷ কামান চৌমুহনিতে এমন সাইনবোর্ড দেখলে অনেকেই বিদ্রুপ করত৷
এ ব্যাপারে কয়েকজন এম ডি ডাক্তার প্রতিবেদককে বলেছেন ত্রিপুরা মেডিক্যাল কাউন্সিলের নজরে বিষয়টি নিতে৷ কারণ এরকম সাইনবোর্ডে অনেকে বিধান বাবুকে গাইনোর বিশেষজ্ঞ বা শিশু বিশেষজ্ঞ বা ডায়েবেটিস বিশেষজ্ঞ ভাবতেই পারে৷ যেটা আসলে তিনি নন৷