অনলাইন ডেস্ক, ১৫ জুলাই।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীর রুদ্রাক্ষে জাপানের সহায়তায় নির্মিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সম্মেলন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। এর পর তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত পেশাদার কর্মীদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
এর পর সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, কোভিড সত্ত্বেও কাশীতে উন্নয়নের গতি অব্যাহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রুদ্রাক্ষে “আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সম্মেলন কেন্দ্র” এই সৃজনশীলতার পরিচয় বহন করে নিয়ে চলেছে। তিনি জানান, এই কেন্দ্রটি ভারত এবং জাপানের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ স্থাপনের প্রতিচ্ছবি। জাপানের সহায়তায় এই সম্মেলন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে বলে প্রশংসাও করেন তিনি।
শ্রী মোদী জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ সুগা ইয়োশিহিদে-র সঙ্গে পূর্বের মত বিনিময়ের কথা স্মৃতিচারণ করেন। এর আগে ইয়োশিহিদে চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ছিলেন। সেই সময় থেকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে এই প্রকল্পের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন। শ্রী মোদী জানান, ভারতের প্রতি সখ্যতার জন্য দেশবাসী তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের কথাও স্মৃতিচারণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনিও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। অতীতে কাশীতে আসার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের সঙ্গে আলাপচারিতার কথাও স্মৃতিচারণ করেন শ্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্মাণে আধুনিকতা ও সাংস্কৃতি – উভয়েরই ছোঁয়া রয়েছে। এটি ভারত ও জাপানের পারস্পরিক সম্পর্কের পাশাপাশি ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শ্রী মোদী জানান, তাঁর জাপান সফরের মধ্যে দিয়ে, দুই দেশের যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা রুদ্রাক্ষের এই প্রকল্প এবং আমেদাবাদের জেন গার্ডেন প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৌশলগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে জাপানের বিশেষ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্ব স্বাভাবিক অংশীদারিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারত এবং জাপানের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত।
এই উন্নয়ন সর্বাত্মক হওয়া প্রয়োজন, সবার জন্য হওয়া উচিত এবং সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া দরকার বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেনারসের শিরায় শিরায় গান, সঙ্গীত, শিল্প বহমান। এখানে গঙ্গার ঘাটে অনেক শিল্পের বিকাশ হয়েছে এবং মানবতার সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনার উদ্ভব ঘটেছে।
এভাবেই বেনারস সঙ্গীত, ধর্ম, চেতনা, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিশ্ব কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রটি আগামী দিনে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং বিভিন্ন মানুষকে একত্রিত করার মাধ্যম হয়ে উঠবে। তিনি কাশীর জনগণকে এই কেন্দ্রটি সংরক্ষণের জন্য আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশীতে গত ৭ বছরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ হয়েছে। তাই রুদ্রাক্ষকে ছাড়া কখনই কি এই কাজ শোভা পায় ? এখন কাশীর শিব প্রকৃত রুদ্রাক্ষ পরিধান করেছেন। কাশীর যত উন্নয়ন ঘটবে কাশীর সৌন্দর্যও ততই বাড়বে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।