অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জুলাই।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরবর্তী ৫ বছর বিচার বিভাগের পরিকাঠামোগত সুবিধা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্প (সিএসএস) চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
এরজন্য খরচ হবে ৯ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে গ্রাম ন্যায়ালয় প্রকল্পের জন্য ৫০ কোটি টাকা সহ কেন্দ্র ৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা দেবে। এই গ্রাম ন্যায়ালয় প্রকল্পটি আইনী সংস্কারের জন্য জাতীয় মিশনের মাধ্যমে মিশন মোডে কার্যকর করা হবে।
এখনও বেশ কয়েকটি আদালত ভাড়া করা অপর্যাপ্ত জায়গায় এবং জরাজীর্ণ অবস্থার মধ্যে প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের আবাসিক স্থানের অভাবে কার্যক্ষেত্রেও ব্যাঘাত ঘটছে।
বর্তমান সরকার সকলের কাছে সহজে এবং সময়মতো বিচার ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে বিচার বিভাগীয় পরিকাঠামো সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাই বিচার বিভাগীয় পরিকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
এই প্রস্তাবের আওতায় জেলা এবং নিম্ন আদালতের বিচার বিভাগীয় আধিকারকদের জন্য ৪ হাজারটি আবাসিক কেন্দ্র, ৩ হাজার ৮০০টি আদালত কক্ষ, ১ হাজার ৪০০টি আইনজীবীদের বসার সুবিধার্থে ঘর, ১ হাজার ৪৫০টি শৌচালয় এবং ৩ হাজার ৮০০টি ডিজিটাল কম্পিউটার রুম গড়ে তোলা হবে। এতে দেশের বিচার বিভাগের কার্যকারিতা ক্ষেত্রে উন্নয়নে সাহায্য করবে এবং এক নতুন ভারতের জন্য আরও ভালো আদালত গঠনের দিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ বছরের মধ্যে গ্রাম ন্যায়ালয় গঠনের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে।এর জন্য রাজ্যগুলিকে অর্থ মঞ্জুর করা হবে। গ্রাম ন্যায়ালয় প্রকল্পটি সফলতা অর্জন করেছে কি না তা এক বছর পরে পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২৬এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিচার বিভাগের পরিকাঠামোগত সুবিধা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে মোট ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। বিচার বিভাগ একটি অনলাইন নজরদারি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে।
এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইসরো প্রযুক্তিগতভাবে সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও ‘ন্যায় বিকাশ-২.০’ ওয়েব পোর্টালের উন্নতি সাধন এবং সিএসএস প্রকল্পগুলির অগ্রগতি বিষয়ে মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে।
এই প্রকল্প সারা দেশে জেলা ও নিম্ন আদালতের বিচারক/বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের জন্য একটি সুসজ্জিত আদালত কক্ষ, আবাসিক প্রাঙ্গনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সাহায্য করবে।
এমনকি ডিজিটাল কম্পিউটার কক্ষ স্থাপন করা হবে। গ্রাম ন্যায়ালয়ের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ন্যায় বিচার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।