অনলাইন ডেস্ক, ১৩ জুলাই।। ২৮ বছর পরে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয় এবং ৫৩ বছরের অপেক্ষা শেষে ইতালির ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মধ্য দিয়ে ভেঙেছে দুই মহাদেশের ফুটবল মহাযজ্ঞ।
ফুটবল ভক্ত-সমর্থক-বিশ্লেষকরা এখন তর্কে ও আলোচনায় বসেছেন, এবারের ব্যালন ডি’অর নিয়ে। কার হাতে উঠবে বছরের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি? করোনা মহামারির কারণে গত বছর এই পুরস্কার বাতিল করা হয়।
ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাব্য তালিকায় সবার ওপরে আছে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জয়ী লিওনেল মেসির নাম। এর আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে টপকে ছয়বার এই পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়েন তিনি। এবার কি মেসি সপ্তমবারের মতো ছুঁয়ে দেখবেন ব্যালন ডি’অর? তবে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না ইউরোজয়ী গিওর্গিও কিয়েলিনির নামও।
এই তালিকা অবশ্য কোনো ফেডারেশন বা দেশের নয়। স্প্যানিশ ক্রীড়া মাধ্যম মার্কা নিজেদের মতো বিচার-বিশ্লেষণে ব্যালন ডি’অরের সম্ভাব্য ৫ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় নেই চেলসিকে ৯ বছর পর চ্যাম্পিয়ন লিগ জেতানো তারকা এনগোলা কান্তে। ইউরো ও কোপার আগে পুরস্কারটির জন্য যার নাম সবচেয়ে বেশি শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ইউরোতে তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ফরাসিরা বিদায় নেয় দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে।
ব্যালন ডি’অরের জন্য মার্কা যে পাঁচ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে শীর্ষে আছেন মেসি। ১৯৯৩ সালের পর দেশকে লাতিন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দিয়ে অমরত্বের খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।এর পরের স্থানে ডাবল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন জোর্গিনহো। এই ইতালিয়ান মিডফিল্ডার চেলসির হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ আর দেশের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য আর কী লাগে?
তৃতীয় স্থানে হ্যারি কেন। ইংল্যান্ড ইউরো জিতলে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে সামনের সারিতে থাকতে পারতেন তিনি। কিন্তু ফাইনালে ইতালিয়ানদের কাছে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয় টটেনহাম ও থ্রি লায়ন্স অধিনায়ককে।চারে থাকা রবার্ট লেভানডভস্কি গত মৌসুমে বুন্দেসলিগা জয়ী বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে দুর্দান্ত সময় কাটালেও ইউরোতে ছিলেন অনুজ্জ্বল। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় তার দল পোল্যান্ড।
পঞ্চম স্থানে আছেন কিয়েলিনি। ইতালির ইউরো জয়ের অভিযানে আর্মব্যান্ড ছিল তার হাতে। জুভেন্টাসের এই ডিফেন্ডার রক্ষণভাগেও ছিলেন দুর্দান্ত। গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার সামনে সতীর্থ সেন্টার-ব্যাক লিওনার্দো বোনুচ্চিকে নিয়ে দেয়াল তুলেছিলেন তিনি।কিয়েলিনি ব্যালন ডি’অর জিতলে তা হবে ইতিহাস। কারণ ফাবিও ক্যানাভারোর পর এই পুরস্কার আর কোনো ডিফেন্ডারের হাতে উঠেনি। ২০০৬ সালে ইতালিকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে ব্যালন ডি’অর জেতেন তিনি।