অনলাইন ডেস্ক, ১২ জুলাই।। কিউবায় কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রোববার বিরল বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ‘একনায়কতন্ত্র নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করতে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে কিউবা। বিদ্যুৎ ও খাদ্য ঘাটতিতে ভোগা কিউবার বিভিন্ন শহরে স্বতঃস্ফূর্ত এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানী হাভানায় কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’ বলে স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটল ভবনের সামনে জড়ো হলে সেখানে বিপুলসংখ্যক সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এদিকে হাভানা থেকে ৩০ মাইল দূরের এন্তোনিও ডি লস বানোস শহরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। তাদের অধিকাংশই ছিল তরুণ।
প্রেসিডেন্ট এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, বিক্ষোভ দমনে বিপ্লবীদের প্রতিরোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেশের সকল বিপ্লবী ও সকল কমিউনিস্টের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- এখন ও আগামী কয়েকদিন আপনারা রাস্তায় নেমে পড়ুন। সাহসের সঙ্গে উস্কানিমূলক এসব পদক্ষেপ মোকাবিলা করুন। ’
রাজধানী হাভানায় সরকার সমর্থকদের পাল্টা বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশজুড়ে বিক্ষোভের খবর দেখানো হয়েছে।
তবে রবিবার সন্ধ্যা থেকে ব্যাপকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা ২০১৮ সালে চালু হয়েছিল।
লাতিন আমেরিকা বিষয়ক মার্কিন শীর্ষ দূত জুলি চাঙ টুইট করে বলেছেন, কিউবায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বাড়ছে। দেশটির জনগণ বেড়ে যাওয়া কভিড সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ জানাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার চর্চা করছে।
উল্লেখ্য, কিউবায় কমিউনিস্ট পার্টির নানা আয়োজনকে কেন্দ্র করে সাধারণত সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।