Diego Maradona is Still There : ম্যারাডোনার শারীরিক শূন্যতা আবারও টের পাওয়া গেল আর্জেন্টাইনদের দেখে

অনলাইন ডেস্ক, ১১ জুলাই।। না থেকেও আছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইনদের তো বটে, প্রতিটি ফুটবল ভক্তের মনে তিনি এমন এক আসনে আসীন, যেখানে আর কারও ঠাঁই নেই।

ম্যারাডোনার শারীরিক শূন্যতা আবারও টের পাওয়া গেলো, মারাকানায় কোপা আমেরিকার শিরোপা হাতে আকাশি-নীলদের উচ্ছ্বাসে মেতে ওটা আর্জেন্টাইনদের দেখে।এমন উদ্‌যাপনেই তো মেতেছিলেন ছিয়াশির মহানায়ক। ঈশ্বরের দিকে দু’হাত তোলে উদ্‌যাপন করেছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ। আজ যদি বেঁচে থাকতেন তবে গ্যালারিতে বসে উত্তরসূরিদের সঙ্গে তিনিও হয়তো গলা মেলাতেন, ‘ভামোস, আর্জেন্টিনা’।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে গত ২৫ নভেম্বর ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। ফুটবল থেকে অবসরের পর তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন, চেয়েছিলেন অন্তত আরেকটি শিরোপা জিতুক আর্জেন্টিনা।১৯৯৩ সালে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা-ডিয়েগো সিমিওনেদের হাত ধরে কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়ানো ম্যারাডোনা লাতিন শ্রেষ্ঠত্বের সেই লড়াইয়ের স্কোয়াডের ছিলেন না। এর দুই বছর পর প্রিয় ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের জার্সিতে ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি।

পরে দেশকে আরেকটি শিরোপা জেতানোর আশায়, আর্জেন্টিনার প্রধান কোচের দায়িত্বও নেন ম্যারাডোনা। কিন্তু সফল হননি। ২০১০ বিশ্বকাপে মেসিরা হাসি এনে দিতে পারেননি তার মুখে। এমনকি গত বিশ্বকাপেও গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার হয়ে গলা ফাটানো সর্বকালের সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনাকে পাগল করা আনন্দ এনে দিতে পারেননি মেসি-দি মারিয়ারা।

আজ যখন আকাশি-নীলরা ২৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে প্রধান কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা উদ্‌যাপনে মাতল তখন সবার মনে জেগে উঠল ম্যারাডোনার স্মৃতি। মাঠে সশরীরে ফুটবল ঈশ্বর নেই। তবে কোথাও না কোথাও বসে ছিয়াশির মহানায়ক হয়তো দেখেছেন উত্তরসূরি মেসি-দি মারিয়াদের উচ্ছ্বাস। আর হয়তো দেশের জয়ে নিভৃতে আনন্দাশ্রু ফেলছেন ম্যারাডোনা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?