অনলাইন ডেস্ক, ১০ জুলাই।। আর্জেন্টিনার জার্সিতে আরেকটি ফাইনালে লিওনেল মেসি। এলএমটেন এবার পারবেন তো প্রধান কোনো টুর্নামেন্টে দেশের ২৮ বছরের শিরোপা অপেক্ষা ঘোচাতে?
জবাবটা পাওয়া যাবে রবিবার সকালে। রিও ডি জেনেইরোর মারাকানায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আরেকটি বড় আসরের শিরোপা লড়াইয়ে লাতিন ফুটবলের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী।
বলা চলে, ক্যারিয়ারের শেষ সময় কাটাচ্ছেন ৩৪ বছর বয়সী মেসি। ক্লাব ক্যারিয়ারে বার্সার হয়ে ১০টি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী এই তারকার ব্যক্তিগত অর্জনও ঈর্ষণীয়। জিতেছেন রেকর্ড ছয়টি ব্যালন ডি’অর। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে এখনও উল্লেখযোগ্য কিছু জিততে পারেননি তিনি। দেশের হয়ে মেসির হাতে উঠেছে কেবল ২০০৮ সালের চীন অলিম্পিক।
মেসির দীর্ঘ ক্যারিয়ারটা চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে আর্জেন্টিনাকে একটি শিরোপা জেতানোর জন্য। কিন্তু গ্রহের সেরা খেলোয়াড়ের সেই স্বপ্নও ভেঙে দিতে চান মারকুইনহোস। মারাকানার ফাইনালকে সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার বলেন, ‘এই শিরোপা অর্জন থেকে আমরা তাকে (মেসি) থামাব।’
২০২১ কোপা আমেরিকা মেসির ১০ম প্রধান টুর্নামেন্ট। তার মধ্যে চারটি (২০০৬, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮) বিশ্বকাপ ও ছয়টি (২০০৭, ২০১১, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯ ও ২০২১) লাতিন আমেরিকার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।
তবে এত আসরেও শূন্য হাত মেসির। আর আর্জেন্টিনার তো আরও খালি। ১৯৯৩ সালে শেষবার কোপা আমেরিকা জিতেছিল লা আলবিসেলেস্তেরা। এরপর এই আসরে আরও চারবার ফাইনালে ওঠে হেরেছে আর্জেন্টিনা। আর এই সময়ের মধ্যে নিজেদের শিরোপার ঝুড়িটা বেশ ভরে নিয়েছে ব্রাজিল।
এবারের কোপায় দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সদ্য বার্সেলোনা থেকে ফ্রি এজেন্ট হওয়া মেসি। ইতিমধ্যে নিজে চার গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন পাঁচ গোল।
এদিকে শিরোপাকে পাখির চোখ করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারও। মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থও দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো জিততে চান প্রধান কোনো শিরোপা। ২০০৭ সালের পর কোপায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বা মেসি-নেইমারের এখন একটাই স্বপ্ন—শিরোপা জয়।
এবারের কোপা আমেরিকা যৌথভাবে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ায়। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কলম্বিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয় আর করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির ফলে আর্জেন্টিনা থেকে সরিয়ে তা ব্রাজিলে নিয়ে আসা হয়।
আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছে শেষ চারে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে। ব্রাজিল হারায় পেরুকে।