স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৭ জুলাই।। রাজধানী আগরতলা শহরের সৌন্দর্যায়নের অজুহাতে ইতিপূর্বে কামান চৌমুহনী থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী কামান তুলে নেওয়া হয়েছে৷
অতিসম্প্রতি পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলা হয়েছে৷ সরকার ও প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাঙালি ছাত্র যুব সমাজ৷ সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল বুধবার পশ্চিম জেলার জেলাশাসক অফিসে এ বিষয়ে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে৷
দাবি করা হয়েছে ত্রিপুরার ঐতিহ্য ও সংসৃকতি রক্ষায় অবিলম্বে স্মৃতিসৌধ স্থাপন করতে হবে৷ এছাড়া আগরতলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো নেতাজির মূর্তি ,শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্তি, বাঙালি মনীষী সহ অন্যান্য মনীষীদের মূর্তি ও স্মৃতিসৌধ গুলি যথাযোগ্য মর্যাদায় রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে৷
ইতিহাস বিকৃত না করে ত্রিপুরা ও বাংলার বিভিন্ন মনীষীদের নামে রাস্তাঘাট, ভবন, সেতু ইত্যাদি সংবিধানস্বীকৃত ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজভাষা বাংলায় নামকরণ করতে হবে৷ স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় বাংলা ভাষায় লিখিত সাইনবোর্ড, বিভিন্ন স্থানের নাম ও বাঙালির স্মৃতি চিহ্ণ মুছে ফেলা যাবে না৷
ত্রিপুরার অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য ও রাজ্যের জাতি উপজাতি অভয় অংশের কৃষ্টি সংসৃকতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এ সমস্ত দাবি পেশ করা হয়েছে বলে বাঙালি ছাত্র যুব সমাজের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।